প্রচ্ছদ

যেভাবে দেড়শ কোটি ডলারের মালিক হলেন তিন বন্ধু!

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: ভারতের আহমেদাবাদের ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট’ থেকে এমবিএ করার পর এম এন শ্রীনিবাস প্রথমে চাকরি পেয়েছিলেন একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায়। সেখান থেকে ১৯৯৯ সালে যোগ দেন আর্থার অ্যান্ডারসন নামে একটি সংস্থায়। সেখানেই আলাপ অজয় কৌশল এবং কার্তিক গণপতির সঙ্গে।

তিনজনের মাথাতেই তখন ভিড় করছে নতুন কিছু করার হাজারো পরিকল্পনা। কথায় কথায় উঠে আসে এমন কিছু করার প্রসঙ্গ যা মানুষের জীবনযাত্রা আরও ডিজিটাল করে তুলবে।

প্রাথমিকভাবে মাথায় এসেছিল অনলাইন শেয়ার কেনাবেচা অ্যাপ তৈরির। কিন্তু অনলাইন শেয়ার ট্রেডিংয়ের দিকে তিন জনের কেউই যেতে রাজি ছিলেন না। বরং বিলপ্রদান সংক্রান্ত সমস্যা ডিজিটালের মাধ্যমে সমাধানের দিকে মন দিলেন তারা।

ব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারিত্বে বিলডেস্ক তৈরি করলেন। ২০০০ সালে বিলডেস্ক আত্মপ্রকাশ করেছিল। কিন্তু রাতারাতি তা জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছায়নি। ব্যাংক, ব্যবসায়ী, ক্রেতা— সবাইকে এর সুবিধাগুলো বোঝাতে অনেক সময় লেগেছে তাদের।

শুরুর তিন থেকে চার বছর এই করেই কেটে গিয়েছে। তার পর থেকে লগ্নি আসতে শুরু করে। ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিলডেস্ক।

মুম্বাইয়ে রয়েছে এর মূল সদর দফতর। তিন বন্ধু মিলে তৈরি করেছিলেন স্বপ্নের এই সংস্থা।

২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিলডেস্কের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি ডলার। ওই বছর ভারতের অনলাইন বিলিংয়ের ৭০ শতাংশ বিলডেস্কের মাধ্যমে হয়েছিল। ২০১৫ সালে বড় লাফ দেয় বিলডেস্ক। ওই বছর ‘জেনারেল আটলান্টিক’ নামে একটি সংস্থা বিলডেস্কে ২০ কোটি ডলার লগ্নি করেছিল।

২০২১ সালে নিজেদের স্বপ্নের সংস্থার সঙ্গে পথ চলা থামিয়ে দিলেন ওই তিন বন্ধু। সম্প্রতি ডাচ সংস্থা ‘প্রোসাস’-এর কাছে বিক্রি করে দিলেন বিলডেস্ক।

৪৭০ কোটি ডলারের বিনিময়ে বিলডেস্ক কিনে নিয়েছে প্রোসাস। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ওই তিন বন্ধুর যা শেয়ার ছিল, সে অনুযায়ী তারা প্রত্যেকে ৫০ কোটি ডলার করে পেয়েছেন।

তবে এখনই বিলডেস্কের সঙ্গে পথ চলা পুরোপুরি শেষ হয়ে গিয়েছে মানতে নারাজ শ্রীনিবাস। তার মতে, বিলডেস্কের মালিকানার বদল ঘটেছে মাত্র। তবে বিলডেস্কের সঙ্গেই পথ চলবেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *