পর্যটন ও পরিবেশ

যাত্রীসেবার মান বাড়াতে বিমানের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের  সঙ্গে সম্পৃক্তদের অনুরোধ জানিয়ে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা আমাদের দেশ। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এদেশ স্বাধীন করেছি। এ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা সবার দায়িত্ব। তিনি বলেন, ‘দেশটা যত উন্নত হবে, অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হতে পারবো, বা আমাদের যাত্রীসেবা যত উন্নত করতে পারবো, তত দেশের লাভ হবে। দেশটা উন্নত হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আপনাদের ওপরে অর্পিত দায়িত্ব  আপনারা পালন করবেন,সেটাই আমি চাই।’

রবিবার (১৪ মার্চ) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি নতুন উড়োজাহাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত বিমান বহরে  ১৬টি নিজস্ব উড়োজাহাজ ক্রয় করা হয়েছে। সর্বমোট আমাদের ২১টি  উড়োজাহাজ আছে। সেগুলো যেন সুরক্ষতি থাকে। যাত্রীসেবার মান যেন উন্নত হয়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য  আপনাদের কাছে আহ্বান থাকলো।

আরও পড়ুন: পর্যটকদের কাছে টানে ‘নাফাখুম জলপ্রপাত’ | দেখুন ভিডিও

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। উড়োজাহাজ নির্মাতা  প্রতিষ্ঠান ‘ডি হ্যাভিল্যান্ড’ এর কাছ থেকে কেনা দুটি ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জিটু জি ভিত্তিতে এ উড়োজাহাজগুলো ক্রয় করা হয়। বরাবরের মতোই উড়োজাহাজ দুটির নামকরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  একটির নাম আকাশ তরী, অন্যটি নাম  শ্বেতবলাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  বলেন, ‘মার্চ মাস, আমাদের অর্জনের মাস। আমাদের মহান স্বাধীনতার মাস।  বাঙালি জাতির জীবনে এটা  একটা গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাসে বিমান বহরে দুটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ উদ্বোধন হচ্ছে। জাতির পিতা বিমানের জন্য একটি  আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। বিমানের পাশাপাশি ডিপার্টমেন্ট অব সিভিল এভিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন, যা আজকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।’  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উড়োজাহাজ শুধু আমাদের দেশ তো না, সারা বিশ্বে যখন ঘুরে   বাংলাদেশেরই প্রতিনিধিত্ব করে। সেজন্য সব সময় প্রচেষ্টা ছিল বিমান যেন ভালোভাবে গড়তে পারি।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি, তারপর থেকে ১২টি উড়োজাহাজ সংগ্রহ করে দিয়েছি। সব আধুনিক, কোনও ভাঙাচোরা পুরাতন না, সম্পূর্ণ নতুন।  আমার বিমান নিয়ে এসেছি এয়ারলাইন্সকে উন্নত করার জন্য। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য  করোনাভাইরাস এসে আমাদের সব সুযোগগুলো নষ্ট করে দেয়।’

শেখ হাসিনা বলেন,‘আমরা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করতে কাজ শুরু করে দিয়েছি। শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল আমরা তৈরি করে দিচ্ছি— একটা আধুনিক টার্মিনাল আমরা করে দিচ্ছি।  যাত্রীসেবা আরও উন্নত করতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *