নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ঈদুল আজহা ঘিরে লকডাউন তুলে নেওয়ায় তিন সপ্তাহের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ঢাকা থেকে সারা দেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল আবার শুরু হয়েছে। তবে মহামারীর বিধিনিষেধ তুলে নিলেও স্বাস্থ্য বিধি মেনেই নৌপথে যাত্রী পরিবহন হচ্ছে বলে নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ ও নৌযান মালিকরা দাবি করেছে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে এমভি ইমাম হাসান সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়, সকাল ৭টায় ছেড়ে যায় সোনারতরী লঞ্চ।
বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক দিনেশ কুমার সাহা বলেন, এতদিন পর লঞ্চ চলাচল শুরু হলেও উপচে পড়া ভিড় নেই। স্বাস্থ্য বিধি মেনেই লঞ্চগুলো ছাড়া হচ্ছে।
এমভি টিপু লঞ্চের মহাব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করছে।
ঈদ ঘিরে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। তবে ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর লকডাউন দেওয়া হবে।
তবে লকডাউন শিথিল করা হলেও পর্যটন ও সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সব ধরণের জনসমাগম পরিহারের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিআইডব্লিউটিএ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ছয়টা পর্যন্ত ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে এবং প্রত্যেক যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধান ও সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে নৌযান পরিচালনা করা যাবে৷ এতে আরো বলা হয়, ২৩ জুলাই ভোর ছয়টা থেকে ৫ অগাষ্ট রাত ১২টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার অন্যান্য) চলাচল বন্ধ থাকবে৷
এদিকে বুধবার নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে কোন ছাড় নয়। ডেক এবং চেয়ারে ৬০ শতভাগ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। বাস বা ট্রেনের ক্ষেত্রে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব, লঞ্চের ক্ষেত্রে অনেক সময় সেটা কঠিন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ডেকে ‘মার্কিং’ করা হয়েছে। মার্কিং অনুযায়ী চলতে হবে। “লঞ্চ মালিকরাও যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখায় তাহলে তাদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না।”
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার।
২২ জুন ঢাকা বিভাগের সাতটি জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ২২ জুন থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে।