ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: বাংলাদেশ ক্রিকেটের পঞ্চপাণ্ডবদের মধ্যে ইতোমধ্যেই মাঠ থেকে দূরে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাহমুদউল্লাহ তো টেস্ট থেকেই অবসর নিয়ে ফেললেন। ইনজুরির কারণে মাঠে নিয়মিত নয় টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল। অন্যদিকে মুশফিক ও সাকিবেরও ক্যারিয়ার প্রায় শেষের দিকে। কারণ গড়পড়তা ৩৬-৩৭ বছর পর্যন্ত খেলে থাকেন ক্রিকেটাররা। মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের বয়স ৩৪ ছুঁয়েছে।
২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ সাকিব আল হাসান। গত ১৫ বছরে টাইগারদের অনেক উথান পতনের সাক্ষী হয়ে আছেন এই অলরাউন্ডার এবং সাবেক অধিনায়ক। এমতাবস্থায় সমর্থকদের মনে প্রশ্ন, আর কতদিন বাইশ গজে দেখা যাবে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে?
সাকিব জানালেন, ফিটনেস ও পারফরম্যান্স যতদিন থাকবে, ঠিক ততদিন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে রাখতে চান তিনি। বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলেও খেলতে সমস্যা নেই তার।
সাকিবের ভাষ্য, ‘আসলে সময় নিয়ে বলা কঠিন। ৫ বছর নাকি ১০ বছর খেলতে পারব, এমনটি ভাবি না কখনও। যতদিন ফিট আছি এবং পারফরম্যান্স আছে, ততদিন খেলে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। সেটি দেখি কতদিন সম্ভব হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর পর্যন্ত সব পরিকল্পনা ঠিক আছে। সামনের বছরের পরিকল্পনা ওই বছরের শুরুতেই করব। এ বছর খুব বেশি খেলা আর নেই। নিষেধাজ্ঞার কারণে আমি অনেক খেলা মিস করেছি। তাই চেষ্টা থাকবে এ বছরটা খুব ভালোভাবে শেষ করার। পরে চিন্তা করে, সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে যেটি ভালো হয়, সেটি করা যাবে।’