৩০০ পর্বে ‘মৌ-এর বাড়ি’। উদ্যাপন আছেই। নিজের পেশাজীবন নিয়ে আর কী ভাবছেন ‘মৌ’ অদ্রিজা রায়?
দেখতে দেখতে বছর পার। ৩০০ পর্বে কালার্স বাংলার ধারাবাহিক ‘মৌ-এর বাড়ি’। মৌ-এর মুখ কিন্তু ম্লান! টিমের আনন্দ, হইচই কিচ্ছু ছুঁয়ে যাচ্ছে না তাকে। স্বামী রূপমের সঙ্গে বিচ্ছেদ আসন্ন। আদালতে মামলা দায়ের করেছে সে। রূপমের দোষ কী? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে বাকিটা বললেন ‘মৌ’ অদ্রিজা রায়। তাঁর কথায়, রূপম আর মৌ পরস্পরকে ভীষণ ভালবাসে। কিন্তু রূপম প্রচণ্ড মিথ্যেবাদী। তার জেরে বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি মৌ। রূপমের অনেক ত্রুটি সে মেনে নিয়েছে। কিন্তু মিথ্যে একেবারেই সহ্য করতে পারে না। তাই বিচ্ছেদ চেয়ে সে আদালতের দ্বারস্থ।
তার পরেই অদ্রিজার বক্তব্য, ‘‘গত এক বছর ধরে ‘মৌ’ চরিত্রে অভিনয় করে আমিও এখন অনেকটাই ওর মতো। শ্যুট শেষে কল্পনা করি, পরের দিনের গল্প কী হতে পারে! সাদামাঠা, ঘরোয়া মেয়ে হয়েও মৌ খুব দৃঢ়চেতা। ওর মধ্যে অনেক সময়েই নিজেকে খুঁজে পাই।’’ তার পরেই মৃদু গলায় যেন কৈফিয়তের সুর, ‘‘বিপদ থেকে বাঁচতে বা বাঁচাতে অনেককেই মিথ্যে বলতে হয়। আমিও বলি বা বলেছি। সেটা কারওর পক্ষে ক্ষতিকারক না হলেই হল। কিন্তু কারণে-অকারণে ক্রমাগত কেউ মিথ্যে বললে সেটা সত্যিই মানা যায় না।’’ নায়িকার দাবি, পরিস্থিতি বুঝে তিনিও হয়তো তাঁর বিশেষ ব্যক্তিকে ছেঁটে ফেলতে চাইবেন। তবে বিচ্ছিন্ন হতে গিয়ে বুক কাঁপবে অদ্রিজার। চোখে জলও আসবে। স্পষ্ট স্বীকারোক্তি নায়িকার, ‘‘আমি মৌ-এর মতো অত শক্ত মনের নই।’’