ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: মন্থর উইকেটে ধেয়ে আসছে একের পর এক ধীর গতির বল। কাটার করে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিগুলোতে কোন গতিতে ব্যাট চালাবেন বুঝতে বুঝতেই শেষ। মিরপুরের মাঠে মোস্তাফিজুর রহমানকে সামলানোর পথ কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না অস্ট্রেলিয়া। অ্যাস্টন অ্যাগার আর মোজেজ হেনরিকস জানালেন, বাংলাদেশের এই পেসারের দক্ষতা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। শুধু কবজি নয়, বল ছাড়তে আঙুলের কারিকুরিও করছেন তিনি।
বুধবার রাতে অস্ট্রেলিয়াকে অল্প রানে আটকে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা মোস্তাফিজের। ৪ ওভার বল করে ২৩ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আগের ম্যাচেও তিনি ছিলেন সমান কার্যকর। ৪ ওভারে কেবল ১৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
ম্যাচের শুরুর দিকেই জশ ফিলিপ মোস্তাফিজের কাটার বুঝতে না পেরে পুল করতে গিয়ে বোকা বনে হয়েছেন বোল্ড। স্কয়ার লেগ দিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্প খোয়ান ম্যাথু ওয়েড।
অ্যাগার স্লোয়ার বাউন্সার পড়তে না পেরে সহজ ক্যাচ দেন কিপারের হাতে। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে অ্যাগার জানালেন, বাঁহাতি পেসারের দক্ষতা বৈপ্লবিক, রীতিমতো অবিশ্বাস্য, ‘ফিজ খুবই কঠিন বোলার। সে খুবই খুবই ভালো। তার স্লো বল করার সামর্থ্যগুলো যদি স্লো মোশনে দেখেন। তার রিষ্টের মতো আঙুলও সক্রিয় থাকে। এটা অবিশ্বাস্য দক্ষতা। অসাধারণ বিপ্লব। তার স্লোয়ারগুলো খুবই ধীরগতিরও হয় না, অনেক রকমের বৈচিত্র্য থাকে, এটাই বৈপ্লবিক।’
‘কাল একটা বল পেয়েছি যেটা লাফিয়ে উঠেছে, এরকম লাফাতে পারে, উঁচু হতে পারে, স্পিন করতে পারে নাও করতে পারে। এটা সত্যিই বৈচিত্র্যময়। বোলিংয়ে অনেক কিছু করার চেষ্টা করে। বেশিরভাগ বলই সে স্লোয়ার করে।’
মোস্তাফিজের বেশ কয়েকটি বল সামলে উইকেটে টিকে ছিলেন হেনরিকস। আইপিএলেও মোস্তাফিজকে একাধিকবার মোকাবেলা করার অভিজ্ঞতা আছে তার। ২৫ বলে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করা এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান খেলা শেষে জানান, নিজেদের মাঠের কন্ডিশন সবচেয়ে বেশি কাজে লাগিয়েছেন মোস্তাফিজ, ‘মোস্তাফিজ আজ রাতে দেখিয়েছি কীভাবে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া যায়। আমার মনে হয় সে ২৩/২৪ টা স্লোয়ার বল করেছে এবং বাড়তি গতিতে কোন বল করেনি।’
‘আইপিএলে সে এটা করেনি। তখন হয়ত অর্ধেক-অর্ধেক ছিল (স্লো বলের সংখ্যা)। সে কন্ডিশনটা সবচেয়ে ভাল কাজে লাগিয়েছে, তাকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ভালো উইকেটেও তার স্লো বল খেলা কঠিন।’
‘এটা স্মার্ট বোলিং ছিল কারণ তার গতিও ছিল যদি দরকার পড়ত। কিন্তু সে কন্ডিশন বুঝে নিয়ে তার পরিকল্পনায় থেকেছে।’
প্রথম ম্যাচে ২৩ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ১২১ রানে আটকে ৫ উইকেটে হেরেছে অজিরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাকি তিন ম্যাচেও ফিজকে সামলাতে হবে অস্ট্রেলিয়ার।