নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: মোটরসাইকেল নিবন্ধন ফি প্রায় অর্ধেক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। তবে এই ফি আরও কমতে পারে। এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন ফির ওপর সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে।
সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে রেজিস্ট্রেশন খরচ আরও কমবে। মূলত পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে ফি সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বিআরটিএ সংস্থাপন শাখার সহকারী সচিব মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ফি কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ১০০ সিসি বা এর কম হলে পূর্বনির্ধারিত বিদ্যমান শুধু রেজিস্ট্রেশন ফি আগের ৪ হাজার ২০০ টাকার জায়গায় ২ হাজার টাকা হবে। আর তা ১০০ সিসির উপরে হলে পূর্বনির্ধারিত বিদ্যমান শুধু রেজিস্ট্রেশন ফি আগের ৫ হাজার ৬০০ টাকার জায়গায় ৩ হাজার টাকা হবে।
ভ্যাট আইন অনুযায়ী, রেজিস্ট্রেশন ফির ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আরোপিত আছে। সে হিসাবে ১০০ সিসির কম ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফির ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ৩০০ টাকা এবং ১৫ শতাংশ হারে সম্পূরক ৩৪৫ টাকা প্রযোজ্য।
একইভাবে ১০০ সিসির বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের যথাক্রমে ৪৫০ টাকা ভ্যাট ও ৫১৮ টাকা সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য। বিআরটিএ এনবিআরকে চিঠি দিয়ে এই ৩৪৫ টাকা ও ৫১৮ টাকা প্রত্যাহার করতে অনুরোধ জানিয়েছে।
এর আগে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি প্রায় অর্ধেক কমিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রস্তাবে সম্মতি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। বিআরটিএর তথ্যমতে, ২০২০ সাল পর্যন্ত সারা দেশে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩১ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৩টি। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই মোটরসাইকেল রয়েছে ৭ লাখ ৯৫ হাজার ১৯৬টি। আর বিআরটিএতে সর্বমোট নিবন্ধিত যানবাহন রয়েছে ৪৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৮টি।