ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুজনের কাছেই। জাতীয় দলের হয়ে শিরোপার খরায় ভুগছিলেন দুজনেই। যে কারণে নেইমার প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন ট্রফি মারাকানায় রেখে দিতে, অন্যদিকে মেসি চেয়েছিলেন তা নিয়ে বুয়েন্স আইরেসে ফিরতে। অবশেষে ট্রফি জুটল মেসির ভাগ্যে। ২৮ বছরের অধরা শিরোপা ধরা দিল আলবিসেলেস্তেদের জালে।
শনিবার সকালে ব্রাজিলের মারাকানায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে আনহোল ডি মারিয়ার গোলে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারাল আর্জেন্টিনা। ম্যাচশেষে মেসির চোখে ছিল আনন্দের কান্না। একই সময় তার বন্ধু নেইমার জার্সিতে মুখ লুকিয়ে ডুকরে ডুকরে কাঁদছেন। এমন উল্লাসের মাঝেও বন্ধুকে নিয়ে ভেবেছেন মেসি। ভাঙা হৃদয়ে নেইমারকে সান্ত্বনা দেন মেসি। ২৪ সেকেন্ডেরও বেশি সময় বন্ধুকে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখেন আর্জেন্টাইন জাদুকর।
এর পর ড্রেসিংরুমে দুজনে খোশগল্পে মাতেন। জার্সি খুলে খালি গায়ে দুজনেই গা ঘেঁষে বসেন। হাসি-ঠাট্টা ও গল্পে মশগুল হয়ে যান। মেসি-নেইমারের সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই তারকার এমন মেল-বন্ধন দেখে আপ্লুত ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দলেই সমর্থকদের।
অনেকের মতে, মেসি-নেইমারের এই খোশগল্পের মুহূর্ত ফুটবলকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। যেখানে খেলাকে ছাপিয়ে গেছে বন্ধুত্ব ও ভাতৃত্বেরবন্ধনে শক্তি। এবারের কোপায় টুর্নামেন্ট সেরা লিওনেল মেসি। তবে কনমেবল ফাইনালের আগেই দুজনকে যৌথভাবে টুর্নামেন্টসেরা ঘোষণা করে।
টুর্নামেন্টে পাঁচ ম্যাচে ২ গোল করেন নেইমার। তার অ্যাসিস্ট সংখ্যা তিনটি। অন্যদিকে ছয় খেলায় ৪ গোল করেছেন মেসি। আর তার অ্যাসিস্টে গোল হয়েছে পাঁচটিতে।