খেলাধুলা

মেসির গন্তব্য পিএসজি না ম্যানসিটি?

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: বার্সেলোনা ও লিওনেল মেসি- ‘দুজনার দুটি পথ দুটি দিকে গেছে বেঁকে।’ এফসি বার্সেলোনা জানিয়েছে, মেসি আর তাদের সঙ্গে থাকছেন না, চলে যাচ্ছেন। যাচ্ছেন তো বটে, কিন্তু কোথায় যাচ্ছেন?

মেসিকে বেতন দেওয়ার মতো আর্থিক সক্ষমতা খুব বেশি ক্লাবের নেই। যাদের আছে তারা আবার নানান সমীকরণের কারণে খরচ করতে পারবে না। সব হিসাব-নিকাশ মাথায় রেখে মেসির জন্য ‘ফিট’ ভাবা হচ্ছে দুটি ক্লাবকে- ফ্রান্সের পিএসজি আর ইংল্যান্ডের ম্যানসিটি।

গত বছর মেসি যখন বার্সা ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, তখন এ দুটি ক্লাবই বেশি আগ্রহ দেখিয়েছিল। এর মধ্যে দৌড়ে বেশি এগিয়ে ছিল ম্যানসিটি। তবে এবার শুরুতে এগিয়ে পিএসজি। কাতারি মালিকানার ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে বেশ মরিয়া হয়ে নেমেছে গত কয়েক বছর। বার্সা থেকে নেইমারকে ‘ছিনিয়ে’ নেওয়ার পর এমবাপ্পেকে দলে ভিড়িয়েছে, এবারের মৌসুমে যোগ দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের সার্জিও রামোস। ইউরোপসেরা হওয়ার লক্ষ্য পূরণে মেসিকে প্যারিসে নেওয়ার ইচ্ছা তাই ভালোমতোই আছে। আর পিএসজিতে গেলে সাবেক সতীর্থ নেইমার তো বটেই, জাতীয় দল সতীর্থ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া আর আর্জেন্টাইন কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনোকেও পাবেন মেসি।

মাদ্রিদভিত্তিক পোর্টাল মার্কা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মেসির বাবা হোর্হে মেসি পিএসজির সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। পিএসজি এখন তাকে দলভুক্ত করার উপায় খুুঁজছে।

আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের সম্ভাব্য অন্য গন্তব্যটি ম্যানসিটি। মূলত আমিরাতি মালিকানাধীন ক্লাবটির আর্থিক সামর্থ্য আর বার্সার সাবেক ও সিটির বর্তমান কোচ পেপ গার্দিওলার আগ্রহ এখানে আসল প্রভাবক।

গার্দিওলা অবশ্য কয়েক মাস আগে মন্তব্য করেছিলেন, মেসিকে তিনি বার্সায়ই দেখতে চান। এখন যেহেতু মেসি-বার্সা বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, গার্দিওলা তার পুরোনো শিষ্যকে ম্যানচেস্টারে চাইতেই পারেন। তবে মেসির বার্সা ত্যাগের খবর শুনে নিশ্চিতভাবেই প্রথমে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলেন সিটি-কর্তারা। কারণ ততক্ষণে ১০০ মিলিয়ন ইউরো খরচায় জ্যাক গ্রিলিশকে কিনে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছেন তারা। বার্সার মেসি বিষয় বিবৃতির মাত্র এক ঘণ্টা পর গ্রিলিশের দলভুক্তির কথা জানায় সিটি। দলটি ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেনকেও ম্যানচেস্টারে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন মেসিকে নেওয়ার সুযোগ আসায় হিসাব-নিকাশ নতুন করে করতে হচ্ছে তাদের।

পিএসজি, ম্যানসিটির বাইরে ইতালির ইন্টার মিলান, ইংল্যান্ডের চেলসি, ম্যানইউও নজর রাখছে পরিস্থিতির দিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *