পিএসজির জার্সি গায়ে প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি, চ্যাম্পিয়নস লিগেও যা তার প্রথম। কিন্তু অভিষেকটা মোটেও আশানুরূপ হলো না তার, যেমনটা হলো না তার দল পিএসজিরও। শুরুতে এগিয়ে গিয়েও ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে ১-১ ড্রয়ে বাধ্য হতে হয়েছে কোচ মরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যদের৷
গেল মৌসুমের সেমিফাইনালে খেলেছিল পিএসজি, এর আগের মৌসুমে ফাইনাল। সেই দলে এবার যোগ দিয়েছেন মেসি। এমন দলের ওপর প্রত্যাশার পারদ না চড়ে যায় কোথায়? কিন্তু সে প্রত্যাশাটা তারকাখচিত পিএসজি মেটাতে পারল কই?
মেসি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপে… কাগজে কলমে এমন ত্রয়ী বিশ্বসেরা হলেও সেটা মাঠে প্রমাণ করতে পারেননি তারা, অন্তত নিজেদের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে তো বটেই। বক্সে হোক, কিংবা বক্সের বাইরে, তিনজনই ভুগেছেন বেশ।
এরপরও ব্যক্তিগত ঝলক দেখা গেছে মাঝেমধ্যে, তারই একটায় এল পিএসজির গোলটা। ম্যাচের ১৪ মিনিটে বাইলাইন ধরে ক্লাব ব্রুগা বিপদসীমায় ঢুকে কাটব্যাক করেন এমবাপে, বক্সে ফাঁকায় থাকা অ্যান্দার হেরেরা বলটা জালে জড়িয়ে পিএসজিকে এগিয়ে দেন সহজেই।
এর মিনিট তের পর আসে স্বাগতিকদের জবাব, গোলটাও যেন হলো অনেকটা পিএসজির গোলটার মতোই। ফরাসি দলটির রক্ষণের দায়ও আছে বটে, অনেকটা ফাঁকাতেই যেন ছেড়ে দিয়েছিল এদুয়ার্দ সোবোলকে, তার কাটব্যাক থেকেই হ্যান্স ভানাকেন সমতা ফেরান ম্যাচে।
পিএসজি এগিয়ে যেতে পারত দুই মিনিট পরই, যদি না মেসির শটটা প্রতিহত হতো ক্রসবারে। পুরো ম্যাচে এই শটটাই হয়ে থাকলো মেসির ‘হাইলাইটস’।
দারুণ প্রেস আর প্রতি আক্রমণের কৌশলে ক্লাব ব্রুগা বিরতির আগ পর্যন্ত ভালোই ব্যস্ত রেখেছে ফরাসি অতিথিদের। মাঝমাঠ, আর রক্ষণের সমন্বয়হীনতাও মরিসিও পচেত্তিনোর দলকে ভুগিয়েছে বেশ। দৃশ্যটা বদলায়নি বিরতির পরেও৷ দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপের চোট আরও কঠিনই করে দিয়েছিল নেইমার মেসির কাজটা।
শুরুর অর্ধে রক্ষণ থেকে আক্রমণে উঠে আসার ‘ট্র্যানজিশন’ সময়ে সমন্বয়হীনতার অভাব ভুগিয়েছে পিএসজিকে। তবে দলে নতুন যোগ দেওয়া নুনো মেন্দেজ আসতেই যেন সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েই গিয়েছিল পিএসজি। ফিনিশিং আরেকটু ভালো হলেই হয়তো কাজ হয়ে যেত দলটির।
সেটা হয়নি। নুনোর কাটব্যাক থেকে মেসির শট ছিল না লক্ষ্যে, বারকয়েক ইকার্দি বনেছেন অফসাইডের শিকার। তাই জয়সূচক গোলটা আর মেলেনি পিএসজির। পিএসজির মেসির চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিষেকটা তাই শেষ হয় ড্র দিয়েই।
/জেড এইচ