মেট্রোরেল স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্তে নগরবাসী
অবশেষে মেট্রোরেল স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্তে নগরবাসী। আনুষ্ঠানিক যাত্রার আগে আগস্টেই মেট্রোরেলের কোচের সমন্বিত চলাচল পরীক্ষা করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এমআরটির নিজস্ব যোগাযোগে স্থাপন করা হচ্ছে নিজস্ব টেলিকম পদ্ধতি। এ জন্য নেওয়া হয়েছে বিটিআরসির অনুমতি।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার পথ ধরেই রাজধানীর বুকে যাত্রা শুরু হবে মেট্রোরেলের। সেই লক্ষ্যে কাজ হয়েছে প্রায় ৯২ শতাংশ। বৈদ্যুতিক লাইন বসানোর কাজ হয়েছে শতভাগ। এই পথের ৯টি স্টেশনের নির্মাণ কাজও প্রায় শেষের দিকে। এখন চলছে স্টেশনে ঢোকা ও বের হওয়ার পথ তৈরির কাজ। প্রকল্প এলাকায় গেলেই বোঝা যায় স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্তে নগরবাসী।
আনুষ্ঠানিক যাত্রার আগে শেষ করতে হবে ট্রেনগুলোর সমন্বিত চলাচলের পরীক্ষা। এই পরীক্ষামূলক চলাচলেই ঠিক হবে সময়, গতি ও স্টেশনে কোন প্ল্যাটফর্মে কোন অংশে ট্রেনগুলো দাঁড়াবে সেই বিষয়গুলো। এই কর্মযজ্ঞে কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য আগস্ট।
মেট্রো প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দীক বলেন, ‘প্রধান কাজগুলো আমরা জুনের মধ্যেই শেষ করব। আর বাকি কাজ আগস্টের মধ্যে শেষ করে ফেলতে চাই।’
পাশাপাশি, এমআরটির নিজস্ব একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ইনডিপেনডেন্ট টেলিকম ম্যাথড। সেটিও স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
এম এ এন ছিদ্দীক বলেন, ‘আইসিটিভিত্তিক মেট্রোরেল চলাচল করবে। সেটার জন্য বিটিআরসি থেকে অনুমতি নিয়েছি। আমাদের ইনডিপেনডেন্ট একটা নেটওয়ার্ক সিস্টেম থাকবে, না-হলে মেট্রোরেল সঠিকভাবে পরিচালনা করা যাবে না। এখন আমরা সেটার টেস্টিং কাজটা করছি।’
এখন স্টেশনগুলো থেকে নেইবার ম্যাপিং অর্থাৎ স্টেশনগুলোর আশপাশে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাওয়ার ও বের হওয়ার পথগুলো নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি ডিসেম্বরেই আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন এমআরটি-৯৬। কর্তৃপক্ষ বলছে, ভাড়ার বিষয়টা এখনো চূড়ান্ত না হলেও নগরবাসীর সাধ্যের মধ্যেই থাকবে মেট্রোরেলে যাত্রা।