নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: বাগেরহাটের মৃত পশুর নদী খনন শেষ। সাতটি সংযোগ খালখননও শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যেই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হয়েছে ফকিরহাটের ৯টি গ্রাম। ধান ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদনে সুফল পেতে শুরু করেছেন গ্রামগুলোর লক্ষাধিক বাসিন্দা। আপন রূপে ফিরেছে প্রকৃতিও।
আশির দশকে বাগেরহাটের বিভিন্ন খাল ও নদী খনন করা হয়েছিল। তবে নানা অবৈধ স্থাপনা তৈরি, দখল বাণিজ্য ও অপরিকল্পিত মাছ চাষে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ ও ভরাট হয়ে যায় খালগুলো। জলাবদ্ধতা ও পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জীবনযাপনে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। শুকনো মৌসুমে ছিল সেচ ও পানি সংকটসহ নানা দুর্ভোগও।
টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মরাপশুর নদীর প্রায় ২০ কিলোমিটার খনন শেষ করেছে এলজিইডি। এর সুফল পেতে শুরু করেছেন বোরোধান চাষি ও এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, জলাবদ্ধতা ছিল, কোনও ফসলাদিও হতো না।
এখনও চলছে সংযোগ খালগুলোর খননকাজ। এতে হাত লাগিয়েছেন কুমারখালী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির ৫ শতাধিক উপকারভোগীও।
বাগেরহাট এলজিইডি বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মিনহাজুল ইসলাম মেহেদী বলেন, “২০ কিলোমিটার খাল পুনঃখননের কাজ হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এপ্রিলেই সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুজ্জামান বলেন, “জলাবদ্ধতা যেন হ্রাস হয়, পাশাপাশি এই খালে যে পানি থাকবে তা দিয়ে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।”
দুই কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নদী ও খালখনন কাজ শেষে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে আশাবাদী স্থানীয়রা।
এমএইচডি/ আইকেজে
আরো পড়ুন: