প্রচ্ছদ

মুখ্যমন্ত্রী হতে বাধা নেই মমতা ব্যানার্জির


ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। টানা তৃতীয় বার তারা সরকার গঠন করতে চলেছে; কিন্তু এই বড় আনন্দের মধ্যেও অস্বস্তির মুখে পড়েছে দলটি। কারণ নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির জয়-পরাজয় নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় ঐ আসনে ভোটের ফলাফলের বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে হারলেও মুখ্যমন্ত্রী হতে কোনো বাধা নেই মমতা ব্যানার্জির।

“রবিবার (২ মে) ভোট গণনার শুরুর দিক থেকেই নন্দীগ্রাম আসনে এগিয়ে ছিলেন মমতা ব্যানার্জির এক সময়ের শিষ্য বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কখনো তিনি এগিয়ে যান, আবার কখনো মমতা ব্যানার্জি। এর মধ্যে সন্ধ্যায় ঘোষণা আসে যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নন্দীগ্রাম আসনে ১ হাজার ২০১ ভোটে জিতেছেন। পরে জানানো হয়, গণনার ১৭ এবং শেষতম রাউন্ডে কিছু ভুল হয়েছিল। মমতা ব্যানার্জি ১ হাজার ৬২২ ভোটে হেরে গেছেন।”

এই ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেস জানায়, “এর বিরুদ্ধে তারা আদালতে যাবে। যে কারণে নন্দীগ্রামের ফল নিয়ে ধোঁয়াশার তৈরি হয়েছে। যদিও মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, নন্দীগ্রামের মানুষ যে রায় দিয়েছে তা আমি মাথা পেতে নেব।”

“এদিকে নন্দীগ্রামে মমতা ব্যানার্জি হারলেও তার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হতে কোনো বাধা নেই। ছয় মাসের মধ্যে কোনো আসন থেকে উপনির্বাচনে তাকে জয়ী হলেই হবে। ভারতে নির্বাচনি নিয়ম অনুযায়ী শপথগ্রহণের ছয় মাস পর্যন্ত বিধানসভা বা লোকসভার সদস্য না হয়েও মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তবে ঐ ছয় মাসের মধ্যে তাকে রাজ্যের ক্ষেত্রে বিধানসভা এবং ভারতের সরকার গঠনের জন্য লোকসভা বা বিধানসভায় নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে।”

এ জয় বাংলার-সম্প্রীতির : মমতা
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, নির্বাচনে বাংলার জয় হয়েছে। বাংলার মা-বোনদের জয় হয়েছে। সম্প্রীতি, সংহতির জয় হয়েছে।

রোববার (২ মে) সন্ধ্যায় কালীঘাটে নিজের দফতরের সামনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তিনি। এর আগে আট দফায় বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর রোববার সকাল থেকে ফল ঘোষণা হচ্ছিল। মমতা নেতাকর্মীদের বলেন, ‘সবাইকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। কোভিড-১৯ সুরক্ষাবিধি মেনে চলুন। বিজয় মিছিল এখন করবেন না। প্রথম কাজ কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *