মুক্তি পেলো ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে মুক্তি পেলো ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস। শুক্রবার (৬ মে) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম দিনেই বাজিমাত করেছে।
এর আগে ২০১৬ সালে এসেছিল এ সিরিজের প্রথম সিনেমা। তারই ধারাবাহিকতায় নির্মিত হয়েছে ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস’। যার মধ্য দিয়ে বহু মহাবৈশ্বিক জগতে ঢুকল ডক্টর স্ট্রেঞ্জ।
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে লন্ডনে ছবিটির শুটিং শুরু হলেও ২০২১ সালের জানুয়ারিতে করোনা মহামারির কারণে তা স্থগিত ছিল। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ, এলিজাবেথ ওলসেন, রাচেল ম্যাকঅ্যাডামস, চিওয়েটেল ইজিওফোর, প্যাট্রিক স্টুয়ার্ট, শোচি গোমেজসহ আরও অনেকে। মার্ভেল স্টুডিওস’র প্রযোজনা এবং ওয়াল্ট ডিজনি মোশন পিকচারস’র পরিবেশনায় মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন স্যাম রাইমি এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন জেড বার্টলেট ও মাইকেল ওয়ালড্রন।
সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্র বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচকে ভয়ঙ্কর সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। ছবিতে বেনেডিক্ট ও এলিজাবেথ ওলসেনের উপস্থিতি দারুণ সাড়া জাগিয়েছে দর্শকদের মনে।
ছবিতে দেখা গেছে, ডক্টর স্ট্রেঞ্জরূপে অন্য মহাকাশে যান বেনেডিক্ট, যেখানে রয়েছে নিজস্ব বাস্তবতায় চলমান অন্য সব পৃথিবী। সিনেমাটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র আমেরিকা শ্যাভেজরূপী শোচি গোমেজ, যিনি মাল্টিভার্সে দরজা খোলার সক্ষমতা রাখেন। আর তাকেই সহায়তা করতে ছুটে যান ডক্টর স্ট্রেঞ্জ। এরপরই কাহিনী এগুতে থাকে। পরবর্তীতে শুধু মহাবিশ্বের নয়, অন্যদেরকেও বাঁচানোর জন্য একই উন্মত্ত প্রতিযোগিতায় নামেন ডক্টর স্ট্রেঞ্জ।
মুক্তির আগেই এ ছবি ঘিরে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছিল তোলপাড়। একইদিনে বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোতেও মুক্তি পেয়েছে ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস’। সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের কৌতূহলের কোনো কমতি ছিল না। এমনকি মুক্তির আগেই হলগুলোতে আগাম টিকিটের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন দর্শক।
তবে সৌদি আরব, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে সমকামিতার অভিযোগে ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স