ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: বর্তমান সময়ে চাকরি পাওয়াটা দুষ্কর ব্যাপার হয়ে উঠছে। আগেই তো ভারতবর্ষে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে উপযুক্ত চাকরি পাওয়াটা একটা বড় চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ছিল, তার ওপর করোনাকালীন পরিস্থিতিতে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন আরো বাড়ছে। সরকারি বা বেসরকারি যেকোনো চাকরি পাওয়াটা একটা কঠিন ব্যাপার হয়ে পড়ছে এখনকার দিনে। এই পরিস্থিতিতে দেশের নাম্বার ওয়ান ধনী মুকেশ আম্বানির রাঁধুনীর বেতন শুনলে যে কোন সাধারণ মানুষের চোখ কপালে উঠতে পারে। একজন সাধারন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মাইনের সরকারি চাকুরেকে অনায়াসে পকেটের পড়তে পারে আম্বানির রাধুনী।
সাধারণ ছোটখাটো চাকরি করার থেকে মুকেশ আম্বানির সেফ হওয়া অনেকেই ভাগ্যের ব্যাপার বলে মনে করেন। এই পরিবারে রাঁধুনি হোক বা যে কোনো ছোটখাটো কাজের জন্য চাকরি হোক বড় ভাগ্যের ব্যাপার। তার কারণ হলো মুকেশ আম্বানি তার সমস্ত কর্মচারী সে গাড়ির ড্রাইভার থেকে বাড়ি রাঁধুনী এমনকি বাগান পরিচর্যা করার মালীদের যে হারে বেতন দেয় তা সত্যিই বড় আকর্ষণীয় বিষয়।
মুকেশ আম্বানি তার বাড়ির কর্মচারী এবং রাঁধুনিদের বেতন দেন সেটি একটা ছোটখাটো ইঞ্জিনিয়ার বা এমবিএ কর্মচারী থেকে অনেক বেশি । একটি সমীক্ষায় জানা যায় মুকেশ আম্বানির বাড়ির রাঁধুনির মাইনে প্রতি মাসে প্রায় দু’লাখ টাকা। তবে এত মাইনের পিছনে আপনি যদি ভাবেন তার রাঁধুনি বিশাল তাৎপর্যপূর্ণ এবং বিশেষ ধরনের পদ রান্না করেন তা নয়। মুকেশ আম্বানী একজন নিরামিষভোজী মানুষ। তিনি অত্যন্ত সাধারণ এবং ছিমছাম সুস্বাদু রান্না খেতে পছন্দ করেন। তাই তার রাঁধুনীরা এমন কিছু স্পেশাল রান্না তাকে করে দেন না। তিনি তার রাঁধুনিদের এভাবে মাইনে দেন না এন্টেলিয়া তে কর্মরত সমস্ত কর্মচারীদের তিনি সমান বেতন দেন।
তাই স্বাভাবিকভাবেই মুকেশ আম্বানির কর্মচারীদের সেলারি অবাক করার মতো। তবে তিনি শুধুমাত্র সেলারি দিয়ে ক্ষান্ত হন না। কর্মচারীদের সেলারি ছাড়াও সমস্ত রকম বীমা এবং শিক্ষা বীমা তিনি প্রদান করেন। তবে যে কেউ মুকেশ আম্বানি কর্মচারী হতে পারেন না। তার জন্য তাদের বিভিন্ন রকম পদ্ধতির মাধ্যমে যেতে হয়। মুকেশ আম্বানির একনিষ্ঠ কর্মচারী হতে গেলে উপযুক্ত মানদন্ড এর মধ্য দিয়ে গিয়ে তবেই আপনি উত্তীর্ণ হতে পারবেন।
আরো পড়ুন: