ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: মিয়ানমারে চিন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর ক্রমবর্ধমান সহিংসতা বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে পাঁচ শতাধিক নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী। দীর্ঘদিন ধরেই এই রাজ্যের বেসামরিক মানুষের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে জান্তা সরকার। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত ১ ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর তৈরি হওয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে মোকাবিলায় চিন রাজ্যে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংগঠিত হয়েছে সেনারা। এমন তথ্য জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও জাতিসংঘ।
এর মধ্যেই হিউম্যান রাইটস ওয়াস- এইচআরডব্লিউ ৫২১টি আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে ভারতীয় সীমান্তবর্তী চিন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর আগ্রাসন ছড়িয়ে পড়ার আগে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
‘চিন রাজ্যে সহিংসতা থামানোর পাশাপাশি দেশটির সংকটময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তরণে জরুরি বৈঠকের প্রয়োজন। সেখানে মানবিক পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে’।
জান্তা সরকাররের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে। এসব গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতের খবর নিয়মিত শিরোনাম হচ্ছে সংবাদমাধ্যমে। গত ১ ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সু চি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। এই সরকারকে হঠাতে বিক্ষোভ অভ্যাহত রয়েছে। এতে সেনাবাহিনীর সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। দমন-পীড়ন বন্ধে সামরিক সরকারকে চাপ দিয়ে আসছে বিশ্ব।
আরো পড়ুন:
দূতাবাস কর্মীদের ইথিওপিয়া ত্যাগ করতে বললো যুক্তরাষ্ট্র