মিয়ানমারের চলমান অবস্থা নিরসনের জন্য আসিয়ানের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ব্রুনাইয়ের পররাষ্ট্র বিষয়ক দ্বিতীয় মন্ত্রী এরিওয়ান। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের বিশেষ দূত মনোনীত হবার পর গতকাল শনিবার তিনি জানান, সংঘাতপূর্ণ মিয়ানমারে যাবার পর তাকে যেন মুক্তভাবে চলাফেরা ও সব পক্ষের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়। আসিয়ানের নিয়োগ পাওয়ার কদিন পরই এরিওয়ান মিয়ানমার সফর নিয়ে বক্তব্য রাখলেন।
রাজধানী বন্দর সেরি বেগওয়ান থেকে ব্রুনাইয়ের পররাষ্ট্র বিষয়ক দ্বিতীয় মন্ত্রী এরিওয়ান সাংবাদিকদের জানান, মিয়ানমারে তার সফর হবে পূর্বপরিকল্পিত। সেখানে যাওয়ার আগে, তিনি ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যেতে চান। এরিওয়ান বলেন, গত জুন মাসের সফরের মতো এ সফর হবে না। তবে কবে নাগাদ তিনি মিয়ানমার সফরে যাবেন যে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এরিওয়ানকে মানবিক সহায়তা বিষয়ক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান, মিয়ানমারে সহিংসতার অবসান ঘটানো এবং সামরিক শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে আলোচনা শুরু করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারের অভ্যুত্থানের নেতা সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং নির্বাচন নিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে এমন অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। সে সময় তিনি আসিয়ানকে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার তাগিদ দেন।
দেশটির সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর একবছরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা থাকলেও গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর প্রধান হ্লাইং জানান, মিয়ানমারের জরুরি অবস্থা ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। যা প্রাথমিকভাবে প্রতিশ্রুতি সময়ের এক বছর বেশি।
সূত্র : আলজাজিরা