মিয়ানমারকে অস্ত্র না দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্র্রদায়ের প্রতি ৭ দেশের আহ্বান

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: ভবিষ্যতে নৃশংসতা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় মিয়ানমারের সামরিক জান্তার কাছে অস্ত্র বিক্রি বা হস্তান্তর বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্র্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ছয় মিত্র। শুক্রবার প্রকাশিত যৌথ এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বিবৃতিতে ইয়াঙ্গুনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার জন্য অন্য দেশগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে ও দক্ষিণ কোরিয়া এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে। পাশাপাশি মিয়ানমারের জনগণ ও গণতন্ত্রপন্থিদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে দেশটির সামরিক জান্তাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর এএফপির।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সারাদেশে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নির্যাতনের যে প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি তাতে আমরা গভীর উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করছি। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে দেওয়া সমস্ত অপারেশনাল সহায়তা স্থগিত করতে এবং অস্ত্র হস্তান্তর বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’ একইসঙ্গে বিবৃতিতে মিয়ানমার বাহিনীকে দেওয়া যে কোনো ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তাও বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।

পশ্চিম মিয়ানমারের সাগাইং এবং ম্যাগওয়ের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে যৌন সহিংসতা ও নির্যাতনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ এবং বিশেষ করে চীন রাজ্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘আমরা জানতে পেরেছি যে, সামরিক জান্তা থানলাং গ্রামে বাড়িঘর, গির্জা এবং একটি এতিমখানা পুড়িয়ে দিয়েছে এবং মানবিক সংস্থাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এ ছাড়া সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মজুদ, গ্রামে গ্রামে গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলা, ভারী অস্ত্রের ব্যবহার এবং সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানের নামে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে প্রকাশ্যে বেসামরিক নাগরিকদের হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে ভবিষ্যৎ সহিংসতার আশঙ্কায় দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি জাতিসংঘের একজন বিশেষ প্রতিনিধি দ্বারা নথিভুক্ত করা হয়েছে। মিয়ানমারে ভবিষ্যৎ নৃশংসতা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করতে উৎসাহিত করেছে সাত দেশ।

মিয়ানমারে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক জান্তা। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ করে আসছেন গণতন্ত্রপন্থিরা এবং বিক্ষোভ দমনে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে মারাত্মক দমনপীড়ন শুরু করেছে জান্তা সরকার।

আরো পড়ুন:

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁকে চিঠি লেখা নিয়ে অনুশোচনা নেই বরিসের

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *