নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: পাহাড়ি সবুজ অরণ্যে ঝর্ণার পানি আছড়ে পড়ার অনুভূতি মিরসরাইয়ের নাপিত্তাছড়া না গেলে বোঝা যাবে না। ঝর্ণার ধেয়ে আসা পানি বড় বড় পাথরের পথ অতিক্রম করে গড়িয়ে পড়তে দেখলেই মন আনন্দে মেতে উঠবে।
এখানে মূলত তিনটি ঝর্ণা রয়েছে। এগুলো হলো- কুপিকাটাকুম ঝর্ণা, মিঠাছড়ি ঝর্ণা এবং বান্দরকুম বা বান্দরিছড়া ঝর্ণা। তবে আরেকটি ঝর্ণা আছে যেটির নাম জানা নেই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে নাপিত্তছড়া ঝর্ণায় যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা। আশেপাশে সবুজের সমারোহ আর বিশাল পাহাড়ের উপর গাছগাছালির দৃশ্য মনোমুগ্ধকর। এখানে দর্শনার্থীদের বাঁশের চাহিদা প্রচুর। বড় বড় পাথর আর পাহাড়ের পিচ্ছিল পথ বেয়ে উঠার ক্ষেত্রে এ বাঁশই একমাত্র সহায়।
প্রায় ৪৫-৫০ মিনিট পর দেখা মিলবে প্রথম ঝর্ণা কুপিকাটাকুমের। দুর্গম আঁকাবাঁকা পথ অতিক্রম করে কুপিকাটাকুমের দেখা পেলে মন খুশিতে ভরে যাবে। বিশাল বিশাল পাথর ধাপে ধাপে সাজানো ছলছল শব্দে প্রবাহিত হচ্ছে স্বচ্ছ পানি। তার উপরের দিকে ছোটে ছোট বেশ কয়েকটা স্তর বেয়ে ধেয়ে আসছে জলস্রোত। ঝর্ণার ছলছল শব্দ মনকে নাড়া দেবে।
এ যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। কুপিকাটাকুম ঝর্ণার বামপাশের পাহাড় বেয়ে উপরে উঠলেই দেখা মিলবে নাম না জানা ঝর্ণাটির। যার ডানপাশে গেলে মিঠাছড়ি আর সোজা গেলে বান্দরকুম বা বান্দরছিড়া। মিঠাছড়ি ঝর্ণাটি সবচেয়ে সুন্দর। আর বান্দরকুম সবচেযে উঁচু থেকে প্রবাহিত হয়। ভ্রমণ আর পরিবেশের সৌন্দর্য্য অসাধারণ। বিকেলের ঝলমলে রোদ যখন কমতে থাকে, চারিদিকে সবুজের আস্তরণে প্রকৃতিতে এক অদ্ভূত মাদকতার দেখা মেলে।