খেলাধুলা

‘মিরপুর স্টেডিয়ামের পঁচিশ হাজার টিকিট কোথায় যায়’

চলমান বিপিএলের শুরুর দিকে মাঠে দর্শকদের অভাব দেখা দিলেও গত কয়েক ম্যাচে পুরো গ্যালারিতে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। তাই ফাইনালকে কেন্দ্র করে দর্শকদের আগ্রহ আরও বেড়েছে। ফাইনালের টিকিট পেতে সকাল থেকেই কাউন্টারের সামনে লাইন দিয়েছিল দর্শকরা। তবে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে বেশির ভাগ মানুষকেই।

আগামীকাল বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচ। এজন্য বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল-কুমিল্লার লড়াই দেখার জন্য সকাল থেকে টিকিট কাউন্টারে ভিড় জমাতে শুরু করেন। সময় পেরোতেই লাইন বাড়তে থাকে। বিসিবির নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে টিকিট বিক্রি শুরু করার কথা থাকলেও দুপুর ১টা বাজলেও টিকিট কাউন্টারে বিসিবি কর্মকর্তাদের দেখা যায়নি।

এতে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে টিকিট প্রত্যাশীরা। একপর্যায়ে টিকিট কাউন্টার ছেড়ে মিরপুর স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেটের সামনের দুই রাস্তা অবরোধ করে রাখে ক্রিকেটভক্তরা। রাস্তা থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে তাদের ওপর চড়াও হয় টিকিট না পাওয়া দর্শকরা।

এরপর কয়েক ঘণ্টা পেরোলেও টিকিট কিনতে পারছিল না তারা। তবে বাংলাদেশের মানুষ এতটা ক্রিকেটকে ভালোবাসে তারা টিকিট না নিয়ে বাড়ি ফিরবে না এমন পণ করতে থাকে।

দুপুর ২টার দিকে টিকিট বিক্রেতারা আসলে তাদের দিকে জুতা ছুড়ে মারতে থাকে ভোর থেকে টিকিটের অপেক্ষায় থাকা কুমিল্লা-বরিশালের দর্শকরা। তবুও টিকিট পাচ্ছিল না তারা। এ সময় তীব্র গরমে বেশ কয়েকজন ভিড়ের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তবে দর্শকদের মনে প্রশ্ন একটায় মিরপুরের ২৫ হাজার টিকিট গেল কোথায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, আমরা জানতে চায় ২৫ হাজার টিকিট কোথায় গেল। ধরে নিলাম ৫ হাজার টিকিট ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকসহ কর্মকর্তারা পেল। আর বাকি ২০ হাজার টিকিট কোথায়।

এদিন কাউন্টারের টিকিটের জন্য অপেক্ষা করলেও কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের কাছে আগের রাতেই টিকিট পৌঁছে গেছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। এক ব্যক্তি বলেন, আমাকে ৩০০ টাকার টিকিট একজন ১ হাজার টাকায় দিতে চাচ্ছিল আমি না করে দিয়েছি।

টিকিট কালোবাজারি জন্য বারবারই বিসিবির ওপর আঙুল তুলে আসছে দর্শকরা। কারণ, কাউন্টারে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট না মিললেও ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে কালোবাজারিতে ঠিকই টিকিট পাওয়া যায়। কিন্তু গুণতে হয় বাড়তি টাকা। এখনও পর্যন্ত এই সমস্যার কোনো সুষ্ঠু সমাধান করতে পারেনি বিসিবি।

এর আগে প্লে-অফের প্রথম দিনের স্টেডিয়ামে নির্ধারিত আসনের থেকেও বাড়তি দর্শকদের মাঠে দেখা যায়। এ ছাড়া অনলাইনে টিকিট কেটেও খেলা দেখতে পারেনি অনেকেই। তাদের অভিযোগ, আমরা অনলাইনে টিকিট কেটেছি, কাউন্টারে টিকিট নিতে আসলে টিকিট দিচ্ছে না। তাই আমরা টিকিট কেটেও মোবাইলে ইন্টারনেট ঢুকিয়ে খেলা দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *