মিয়ানমারে কারাবন্দী মার্কিন সাংবাদিক ড্যানি ফেনস্টার (৩৭) মুক্তি পেয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে মিয়ানমার ছেড়েছেন।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) ড্যানির পরিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে ড্যানি ফেনস্টারের পরিবার জানিয়েছে, মুক্ত হওয়ার পর ড্যানি যুক্তরাষ্ট্রের পথে রয়েছেন। পরিবার তার মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্য বিশেষভাবে রাষ্ট্রদূত রিচার্ডসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়।
এর আগে শুক্রবার ড্যানিকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন মিয়ানমারের একটি সামরিক আদালত। শুরু থেকেই তার মুক্তির জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত মে মাসে আটকের পর থেকে ১৭৬ দিন কারাগারে ছিলেন ড্যানি ফেনস্টার। অভিবাসন আইন লঙ্ঘন, বেআইনি সংঘ ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমত উৎসাহিত করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাকে।
ড্যানির মুক্তির বিষয়টি জান্তা সরকারের মুখপাত্র জ মিন থ নিশ্চিত করে বলেন, তিনি ইতিমধ্যে মিয়ানমার ছেড়েছেন। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা হবে। নেপিডো বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তাও ড্যানির মিয়ানমার ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি তার ফ্লাইটের গন্তব্য প্রকাশ করেননি।
ড্যানি ‘ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার’ নামের মিয়ানমারভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যমের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছিলেন। ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের আগে ‘মিয়ানমার নাউ’ নামের আরেকটি গণমাধ্যমের হয়ে কাজ করতেন ড্যানি। গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তার সমালোচনা করে আসছে গণমাধ্যমটি।