বিনোদন

মিথ্যাচার গৌরবের কোনো সূত্র হতে পারে না : সিয়াম আহমেদ

মিথ্যাচার গৌরবের কোনো সূত্র হতে পারে না বলে মনে করেন অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ‘মনগড়া সংবাদ’ অভিনেতার ব্যক্তি জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলায় এ বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

নিজের ভেরিফাই ফেসবুকে রোববার রাতে দেয়া একটি পোষ্টে সিয়াম এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শুভানুধ্যায়ীদের সাইবার বুলিইং এর বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নেয়া এবং বুলিদের ‘না’ বলার আহবান জানান। নিজে সিয়ামের পোস্টটি দেয়া হলো।

সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যক্তি এবং কিছু তথাকথিত ভুইফোঁড় অনলাইন পোর্টাল আমার নাম উল্লেখ করে মূলত অনলাইন মাধ্যমে আমাকে নিয়ে কাল্পনিক গল্প থেকে শুরু করে নানাবিধ মিথ্যাচার ছড়িয়ে যাচ্ছেন। এটা বলা বাহুল্যমাত্র যে সমস্ত গল্পগাঁথা, মিথ্যাচার ও নোংরামো’র মূলত কোনো-ভিত্তি-ই নেই।

একজন সামান্য মিডিয়াকর্মী হিসেবে আমি প্রতিটি সময় চেষ্টা করি আমার শুভানুধ্যায়ী থেকে শুরু করে সম্মানিত সকল দর্শককে সুস্থ বিনোদন দেবার জন্য এবং তাদের জন্য আমার চেষ্টার শেষ নেই। সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার আমার এই বিরামহীন প্রচেষ্টা সব সময় চলমান।

আপনারা বোধকরি লক্ষ্য করে থাকবেন যে বর্তমানে বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে একটা অস্থিতিশীল কিংবা অস্থির যা-ই বলিনা কেন তেমন পরিবেশ বিরাজমান। সেগুলোর কারণ কিংবা বিধেয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হতেই পারে। যে কোনো যৌক্তিক তর্ক-বিতর্ক নতুন ভাবনার বিকাশ ঘটায় এবং এগুলো সুস্থ সমাজের উপাদানও বটে।

কিন্তু এইসব তর্ক বিতর্ক আর মিথ্যাচার কিংবা কুৎসা রটাবার যে ‘ফাইন-লাইন’ রয়েছে সেটি ছাপিয়ে যখন আমাকে হীন উদ্দেশ্যে নানাবিধ মিথ্যাচারে বিদ্ধ করা হয় এবং একইসাথে আমার পারিবারিক জীবনকে ক্ষতিগস্থ করবার চেষ্টা করা হয় তখন কেবল একজন অভিনেতা/মিডিয়াকর্মী হিসেবেই নয়, বরং একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেও আমার দায় জন্মে আমাকে যারা ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা করেন এবং যারা আমার শুভাকাংখী তাদের প্রতি আমার একটি বার্তা পৌঁছে দেয়ার।

বলা বাহুল্য এই বার্তা আমাকে যারা ভালোবাসেন কিংবা শুভাকাংখী তাদের জন্য স্বস্তির হলেও খুব সম্ভবত যারা এই কুৎসা রটাচ্ছেন তাদের জন্য স্বস্তির নয়।

সাম্প্রতিক সময়ে আমার ভক্ত-শুভাকাংখীরা কিছু বিষয়ে আমার দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। আগেই উল্লেখ করেছি কিছু ব্যক্তি এবং কিছু তথাকথিত ভুইফোঁড় অনলাইন পোর্টাল আমার নাম উল্লেখ করে মূলত অনলাইন মাধ্যমে আমাকে নিয়ে কাল্পনিক গল্প থেকে শুরু করে নানাবিধ মিথ্যাচার ছড়িয়ে যাচ্ছেন। আমি এইসব ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ করছি।

স্পষ্টত এইসব বক্তব্য এবং সেগুলো ছড়িয়ে দেয়া মানহানিকর এবং একই সাথে বাংলাদেশে বিদ্যমান সাইবার অপরাধের যে নানাবিধ ধারা-উপধারা রয়েছে তার অন্তর্ভূক্ত। এই সমস্ত মিথ্যে মানহানিকর বক্তব্য, রটনা আমার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক সকল ক্ষেত্রেই ক্ষতির মুখোমুখি করেছে এবং আমি এই পুরো ব্যাপারটিতে মর্মাহত ও বিষ্মিত।

আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের একজন আইন মান্যকারী নাগরিক। পেশায় একজন অভিনেতা এবং আইনজীবি। আমি স্পস্ট জানাতে চাই যারা যারা এইসব মানহানিকর কর্মকাণ্ড তথা এই কুৎসা রটনায় এখন পর্যন্ত জড়িত আমি প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ দ্রষ্টব্য) আমি মনে করি একজন আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে আদালতের উপর বিচারের ভার ছেড়ে দেয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।

আমি এই লেখাটির মাধ্যমে সে-সমস্ত ব্যক্তিদের কাছে আহবান করব, আপনারা যারা এইসব কুৎসা, মিথ্যাচার, নোংরামো সামান্য হলেও একোমোডেট করেছেন কিংবা সেটির অংশ হয়েছেন (বুঝে কিংবা না বুঝে) দয়া করে আপনারা তা থেকে বিরত থাকুন। একজন ব্যক্তির জীবন মিথ্যেভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করবার সামান্য অধিকার আসলে কেউ রাখতে পারেন আমি তা কোনোভাবেই মনে করি না। একই সাথে আমি এও মনে করি না কারো বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা বা ছড়াবার কাজগুলো গৌরবের কোনো সূত্রও হতে পারে।

আমি আমার সমস্ত দর্শক, শুভানুধ্যায়ীদের অনুরোধ করব, আপনারা এইসব সাইবার বুলিইং এর বিরুদ্ধে সুতীব্র অবস্থান নিন এবং সাইবার বুলিদের ‘না’ বলুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *