নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে হাটবাজার, দোকান-পাট ও শপিংমলে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হলেও অনেক ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। তাই বাজার ও শপিংমলের সব ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক না থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
‘যে কোনো দিন যে কোনো মার্কেটে’ পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সতর্ক করেছেন।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় সোমবার সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি সম্প্রতি একটি কাজে একটি মার্কেটে গিয়েছিলাম, আমি সেখানে বেশি লোককে মাস্ক পরতে দেখিনি। পরে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, আমরা ক্রস চেক করব যে কোনো দিন, সে মার্কেটে যদি সবাইকে মাস্ক পরা না দেখি তাহলে উই উইল টেইক অ্যাকশন।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত ৩ আগস্ট থেকে হাটবাজার, দোকান-পাট ও শপিংমল খোলা রাখার সময় বাড়িয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত করেছে সরকার।
হাটবাজার, দোকান-পাট ও শপিংমলে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনের পাশাপাশি শপিংমলে প্রবেশমুখে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা ছাড়াও শপিংমলে আসা যানবাহনগুলোকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেসব নিয়ম পুরোপুরি মানা হচ্ছে না।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে গত ২১ জুলাই একটি পরিপত্র জারি করা হলেও নানা অজুহাতে মানুষ তা এড়িয়ে যাচ্ছে।
সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে, মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গেছে পাঁচ হাজারের কাছাকাছি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাস্ক ব্যবহার করা দরকার। সবাই মিলে ঠিকভাবে মাস্ক যদি ব্যবহার না করি তাহলে কিন্তু মুশকিল। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই তরফ থেকে যদি মাস্ক পরা থাকে তাহলে ৯৫-৯৮ শতাংশ নিরাপদ। আর এক তরফ থেকে মাস্ক থাকলে ৬০-৬৫ শতাংশ নিরাপদ। মাস্ক যদি না পরে তাহলে কিন্তু কোনো কিছুই সফল হবে না। এজন্য সবাইকে উদ্ভুদ্ধ করতে হবে।
কেউ মাস্ক কিনতে না পারলে বাড়িতে কাপড় দিয়ে সহজেই তা বানিয়ে নেয়া যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত তুলে ধরেন আনোয়ারুল।
এই মহামারীর মধ্যে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না- ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।