ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: পিএসজির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি হয়েছে লিওনেল মেসির। চাইলে আরও এক বছর বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগও আছে। প্যারিসে বেশ অনেক দিনই থাকতে হবে মেসিকে।
এত দিন কি আর হোটেলে থাকা সম্ভব? নিজের বাড়ি না হলেও অন্তত একটা ভাড়া বাড়ি তো দরকার।
মেসির পিএসজিতে আসা নিশ্চিত হয়েছে তাও মাস দেড়েকের মতো হয়ে গেল। এই দেড় মাস পরিবার নিয়ে হোটেলেই থেকেছেন মেসি। প্যারিসের লে রয়্যাল মনসু হোটেলে প্রতি রাতে ১৭ হাজার পাউন্ড ভাড়া দিয়ে আপাতত মেসির আবাসন সমস্যার সাময়িক সমাধান করেছে পিএসজি। ১৯২৮ সালে যাত্রা শুরু করা এ হোটেল প্যারিসে শিল্পী, সেলিব্রিটি ও বুদ্ধিজীবীদের আড্ডা ও জমায়েতস্থল হিসেবে বিখ্যাত।
কিন্তু এভাবে আর কত দিন? নিজের বাসা, পারিবারিক গোপনীয়তা, ছেলেদের শিক্ষাদীক্ষারও একটা ব্যাপার তো আছে।
অবশেষে একটি ভাড়া বাড়ির সন্ধান পেয়েছেন মেসি, এমনটাই জানা গেছে। প্রতি মাসে ২০ হাজার পাউন্ড ভাড়া দিয়ে সে বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকবেন মেসি। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় ২০ লাখ টাকা।
কিছুদিন আগে ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা পারিসিয়েন জানিয়েছিল, প্যারিসের পশ্চিমাঞ্চলের উপশহর নিউয়ি-সুর-সেনে বাড়ি নিতে পারেন মেসি। বেশ কিছু দূতাবাস এবং করপোরেট অফিসের সদর দপ্তর এ অঞ্চলে অবস্থিত। প্যারিসে সবচেয়ে ধনী ও বিলাসবহুল উপশহরগুলোর একটি নিউয়ি-সুর-সেন।
তিন সন্তান থিয়াগো, মাতেও ও চিরোর জন্য ভালো স্কুলও আছে সেখানে। পিএসজির মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে যাতায়াতও সেখান থেকে সহজ। মেসির খুঁজে পাওয়া ভাড়া বাড়ি সে এলাকাতেই বলে নিশ্চিত করেছে আরেক সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্ত।
মেসির স্বদেশি আনহেল দি মারিয়া ও লিয়ান্দ্রো পারেদেসও এই এলাকাতেই ভাড়া থাকেন। যদিও নেইমারকে এখানে পড়শি হিসেবে পাচ্ছেন না মেসি। প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর ভেলিনেসে থাকেন নেইমার।
আরো পড়ুন: