ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে গতিতে বল করেন, আছে স্যুয়িং আর বাউন্স। তবে তাসকিন আহমেদ অনুভব করছেন টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে দরকার স্লোয়ারও। স্লোয়ার আর কাটার করার কৌশল শিখতে তাই সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার শরণ নিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার তাসকিনের ডাকেই মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসেন মাশরাফি। তাসকিনের নেটে গিয়ে দেখান স্লোয়ার বলের কয়েকটি গ্রিপ। বেশ লম্বা সময় ধরে কাজ করে দুজনে। এসময় পাশে ছিলেন কোচ মিজানুর রহমান বাবুলও।
পরে গণমাধ্যমকে তাসকিন জানান যে কারণে মাশরাফির শরণ নিয়েছেন তিনি, ‘ভাইকে বলছিলাম একদিন সময় দেওয়ার জন্য। কারণ আমার আসলে পেস, স্যুয়িং এইগুলা উন্নতি হচ্ছে কিন্তু আমি স্লোয়ারের দিক থেকে একটু পেছানো। উনাকে বলেছিলাম স্লোয়ার বল উন্নতি করতে চাই।
‘ভাই এসে কিছু গ্রিপ দেখালো। বললো “যে একেকজনের একেক রকক অ্যাকশন হয়। এইগুলা একটু চেষ্টা করে দেখতে পার।” আমার কাছে ভালো লাগল কিছু কাটারের গ্রুপ দেখিয়েছে। আশা করি এইগুলা প্রয়োগ করলে ফল হবে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাড়তি অস্ত্র যোগ করতে গিয়ে তাসকিনকে তালগোল না পাকানোরও পরামর্শ দেন মাশরাফি।
‘মূলত দুই তিনটা গ্রিপ দেখিয়েছে। আর বলেছে একসঙ্গে এত কিছু নিয়ে ত কাজ করা যাবে না। যেহেতু সামনেই অনেক খেলা। আপাতত কাটার চেষ্টা করতে বলেছে। তো ওইটাই দেখাল। বলল যদি ভাল লাগে এটা কন্টিনিউ করতে পার। এটা আয়ত্তে এলে আরেকটা’, জানালেন তাসকিন।
টি-টোয়েন্টিতে কেবল গতি, বাউন্স দিয়েই সাফল্য পাওয়া কঠিন। গতি বৈচিত্র্যের চেষ্টা করতে দেখা যায় দুনিয়ার অনেক বোলারকেই। তাসকিন জানান তার মূল শক্তির জায়গা ঠিক রেখেই বাড়তি একটি অস্ত্র যোগ করতে চান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, ‘পেসের সঙ্গে আমার কোন আপোষ নাই। আমি মোস্তাফিজ হতে পারব না। মোস্তাফিজ কাটার মাস্টার। আমি পেসের সঙ্গে একটু স্লোয়ার যোগ করছি আরকি।’
‘আমি কাটার আগেও করতাম। আমারটা একটু সোজা যেত, কম ঘুরত।’
‘আমার শক্তি যেটা পেস বাউন্স এটার সঙ্গে এটা যোগ হলে আরেকটা বিকল্প হতে পারে। মাশরাফি ভাই বলেছে যদি ভাল লাগে তাহলে চেষ্টা করবা। হয়ত একটু সময় লাগবে। যদি শিখতে পারি আমার মনে হয় ভাল হবে।’
উইকেট একটু মন্থর থাকলে একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে চ্যালেঞ্জে পড়তে হয় তাসকিনকে। এই অস্ত্র যোগ করে সব ধরণের উইকেটের চাহিদা মেটাতে চান তিনি, ‘আগে তো মিরপুরের উইকেটেও আমার কাটার ধরত না। এখন একটু ধরছে। আরও অনুশীলন করব, আরও আত্মবিশ্বাসী হবো। হয়ত ভাল হবে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলোতে চলছে আইপিএল। আইপিএলে পেসাররাই স্পিনারদের চেয়ে পাচ্ছেন বেশি উইকেট। গতির সঙ্গে গতি বৈচিত্র্যের মিশেলে ব্যাটসম্যানদের কাজটা কঠিন করে দিচ্ছেন তারা।
আরো পড়ুন:
সমর্থকদের কাছে উৎসাহ চাইলেন রোনালদো