নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে কোভ্যাক্স থেকে করোনাভাইরাসের ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ। এছাড়া বাংলাদেশ আরো তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কিনবে বলে শনিবার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা বলেন,”কোভ্যাক্স থেকে আমাদের আগে জানানো হয়েছিলো- ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা মার্চের প্রথম দিকে ভ্যাকসিন আসবে। এখনো আমরা নিশ্চিত ডেট পাইনি, তবে আমরা আশা করছি মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাবো। প্রথম সপ্তাহে না পেলেও কাছাকাছি সময়ে ভ্যাকসিন দেশে আসবে”।
কোভ্যাক্সের ভ্যাকসিনের পাশাপাশি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৩ কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কিনেছে বাংলাদেশ। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে সে ভ্যাকসিন দেশে আসবে। এখন বাংলাদেশের হাতে ভারতের উপহার ও সিরামের কেনা ৯০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। সেই ভ্যাকসিন দিয়েই বাংলাদেশ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন যে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আরও তিন কোটি ডোজ কেনা হবে। শনিবার স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, “ফেব্রুয়ারির শুরুতে আমরা যে টিকাদান কর্মসূচী শুরু করেছি, তা অব্যাহত রাখতে আমি আরও তিন কোটি ভ্যাকসিন কেনার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছি”।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান যে, কেউই ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশ টিকা উৎপাদন করতে পারবে। আমি আমাদের বিভিন্ন ফার্মাসিটিউক্যাল কোম্পানিকে বলেছি- কারা কারা এটা করতে পারবে…তার জন্য প্রস্তুত থাকো”।
কোভ্যাক্স থেকেও বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন পাবে। তবে সে ভ্যাকসিন সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত হবে নাকি সাউথ কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত ভ্যাকসিন হবে তা এখনো নিশ্চিত জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, “বেক্সিমকোর আনা ভ্যাকসিন বেক্সিমকোই গ্রহণ করে জেলায় জেলায় পৌঁছে দেয়। কিন্তু কোভ্যাক্সের ভ্যাকসিন আমাদের নিজেদের ব্যবস্থায় এয়ারপোর্ট থেকে জেলায় জেলায় পৌঁছে দেয়া হবে। সেই ভ্যাকসিন কবে প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত প্ল্যান হয়নি”।
এরইমধ্যে কোভ্যাক্স বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু করে দিয়েছে।
ফ্লোরা বলেন, “কোভ্যাক্সের পলিসি অনুযায়ী যেসব দেশে একদমই টিকা যায়নি, সেসব দেশে তারা আগে টিকা দিচ্ছে। আমাদের দেশে যেহেতু নিজেদের সামর্থ্য থেকে অনেক মানুষকে টিকা দিতে পারছি তাই ঘানা বা ওরকম দেশে আগে ভ্যাকসিন যাচ্ছে। তবে আমরা মার্চের শুরুতেই ভ্যাকসিন পাবো”।