ধূমকেতু ডেস্কঃ বাংলাদেশের পোশাক উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে বছরের পর বছর পোশাক নিয়ে গেছে কিন্তু পরিশোধ করেনি পাওনা টাকা। ফলে অনেক বাংলাদেশী গার্মেন্টস কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে গেছে। শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে না পারায় শ্রমিকরা আন্দোলন করতে রাস্তায় নেমে আসে। পশ্চিমা নামী দামী ব্র্যান্ডগুলোর এমনই শোষণের মাঝে বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকরা তাদের অন্যতম ‘শোষক’ বলে পরিচিত ‘সিয়ারস’-এর বিপক্ষে এক বিরল জয় অর্জন করল। সিয়ারস যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় রিটেইল কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
গত জুনে সিয়ারসের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ডলারের মামলা করে বাংলাদেশের ২১টি কোম্পানি। অ্যাটর্নি জোসেফ ই সারাচেক এবং ওনার সংস্থা এদের প্রতিনিধিত্বে মামলা লড়ছিল। তিনি জানান, তার বাদীপক্ষ ট্রান্সফর্মকো নামক একটি ব্যক্তি-মালিকানাধীন সংস্থার বন্দোবস্তে তাদের বেশিরভাগ পাওনা অর্থই ফেরত পেয়েছে।
“এসব সাপ্লাইয়াররা নিশ্চয়ই আনন্দিত এবং শিহরিত বোধ করছিলেন কারণ আমরা তাদের পাওনার উল্লেখযোগ্য অংশ ফিরিয়ে দিতে পেরেছিলাম”, জানান সারাচেক।
তবে তালিকায় শুধু সিয়ারসের নাম নিয়ে আসলে ভুল হবে। গত বসন্তে মহামারীর শুরুতে ফরএভার ২১, রস ড্রেস ফর লেস, দ্য চিলড্রেন’স প্লেস, কেয়েল’স, গ্লোবাল ব্র্যান্ডস এন্ড আর্কেডিয়ার মত বিশ্বসেরা অনেক ব্র্যাণ্ডই পোশাক কারখানালোকে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি।
অনেক কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যায়, শ্রমিকেরা আন্দোলন করতে করতে রাস্তায় নেমে আসে। শুধু পশ্চিমা দেশগুলোতেই নয়, বাংলাদেশ এবং পুরো দক্ষিণ এশিয়াতে এটি এক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করেছিল সে সময়।
সারাচেক জানান, ব্র্যান্ডগুলো যখন এভাবে পাওনা টাকা পরিশোধ না করে শ্রমিকদের শোষণ করে তখনই পোশাক উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে একত্র হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। ‘আরও সক্রিয়’ হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন থেকে তিনি এসব নামী ব্র্যান্ডগুলোর শোষণের গল্প আরও বেশি মাত্রায় সামনে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছেন।
“একবার এদের আপনার ঘাড়ে চড়তে দিলে, তারা আর ঘাড় থেকে নেমে আসবে না”। সূত্রঃ ফোর্বস।