প্রচ্ছদ

মার্কিন ঘাঁটি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন আফগানরা!

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: ২০ বছরের আফগান যুদ্ধ শেষে দেশটি থেকে চলতি বছরের আগস্টে চলে গেছে মার্কিন বাহিনী। দেশটির নিয়ন্ত্রণ এখন তালেবানের হাতে।

দীর্ঘ সময়ে মার্কিন সেনাদের সহায়তা করা হাজার হাজার আফগানকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ঘাঁটিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সেই আফগান শরণার্থীরা এখন ঘাঁটি ছেড়ে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় চলে যাচ্ছেন।

শুক্রবার (০১ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০০ আফগান শরণার্থী মার্কিন ঘাঁটি ছেড়েছেন। এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। প্রথম দিকে যারা মার্কিন ঘাঁটি ছেড়েছেন, তাদের সংখ্যা গণনা এখনও করা হয়নি।

মার্কিন সহায়তায় থাকা শত শত আফগান শরণার্থীর এভাবে সেনা ঘাঁটি ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়টিকে ‘অপ্রত্যাশিত’ বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাধিক কারণে ঘাঁটি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যত্র চলে যাচ্ছেন আফগান শরণার্থীরা।

ঠিক কতজন শরণার্থী ঘাঁটি ছেড়েছেন, সে বিষয়ে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক মুখপাত্র। তিনি রয়টার্সকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আত্মীয় ও পরিচিত ব্যক্তিদের কাছে চলে গেছেন এরই মধ্যে ঘাঁটি ছেড়ে যাওয়া আফগান শরণার্থীরা। তাদের অনেকের কাছেই ছিল মার্কিন ভিসা। এ কারণে তারা সহজেই ঘাঁটি ছাড়তে পেরেছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘাঁটি ছেড়ে চলে যাওয়া আফগান শরণার্থীদের বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। অভিবাসন সংক্রান্ত নথিপত্রের পাশাপাশি তাদের অর্থ সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। একবার মার্কিন ঘাঁটি ছেড়ে গেলে আর সেখানে আসা যাবে না বলেও সকর্ত বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, কাবুল পতনের পর পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তালেবানের হাতে। তারা এখন সেখানে সরকারও ঘোষণা করেছে। এরই মধ্যে দেশটির জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে তালেবান সরকার।

আফগানিস্তান তালেবানদের দখলে যাওয়ার পর অনেক আফগান দেশটি ছাড়তে শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ তাদের আশ্রয় দেয়। নিজস্ব ফ্লাইটে করে ওই আফগানদের যুক্তরাষ্ট্রে আনার পর সামরিক ঘাঁটিতে রাখা হয়। এখন সেখান থেকে শরণার্থীদের অন্যত্র চলে যেতে দেখা যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৭টি সেনা ঘাঁটিতে ‘মানবিক কারণে’ ৫০ হাজারের বেশি আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে টেক্সাসের ফোর্ট ব্লিজ থেকে তিন শতাধিক শরনার্থী অন্যত্র চলে গেছেন। এরপরই বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।

ওই আফগান শরণার্থীদের অনেকেই ছিলেন দোভাষী। এ ছাড়া তাদের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে আফগানিস্তানে বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

তাইওয়ানের আকাশসীমায় ৩৮ চীনা বিমান !

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *