নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: মাগুরায় লকডাউন অমান্য করে বাবাকে নিয়ে ইজিবাইকে করে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন জগদল গ্রামের বাসিন্দা সুজন শেখ। শহরের ভায়না এলাকায় আসলে ইজিবাইকটি থামিয়ে পুলিশ ও স্কাউট সদস্যরা বলেন, স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। আপনারা কেন লকডাউন অমান্য করে রাস্তায় আসছেন?
এই কথা বলতেই সুজন শেখ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেন, স্যার আমার আব্বায় ছোট একটা চায়ের দোকান চালায়। সেই আয় দিয়ে আমাদের ছয় জনের সংসার চলে। কয়েকদিন অনাহারে অর্ধাহারে চলছে আমাদের সংসার। আব্বায় লকডাউনের আগে থেকে প্রচণ্ড পেট ব্যথায় ভুগছিলেন। লকডাউন অমান্য করে স্যার আব্বাকে নিয়ে জেলা সদরে এসেছি ডাক্তার দেখাতে। স্যার আমারে মামলা বা জরিমানা দিবেন না স্যার। এ কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সুজন শেখ।
সুজনের কথা শুনে তাকে মামলা ও জরিমানা না নিয়ে বাবার চিকিৎসার জন্য টাকা দিলেন জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল্লা মোবাশিরা।
শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ভায়না মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে মানুষকে ঘরে রাখার সর্বাত্মক ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। জেলায় অতিমাত্রায় করোনা বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশের মত মাগুরায় চলছে কঠোর লকডাউন। জেলার মানুষকে ভালো রাখার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসছেন। অনেক সময় সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে মানুষের পাশে থাকছেন জেলা আইন শৃঙ্খলা সদস্য স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা। যে ম্যাজিস্ট্রেট মামলা না নিয়ে ওই কিশোরের বাবার চিকিৎসার টাকা দিয়েছে তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, অনেক সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা মানুষের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন। তাদের সহযোগিতা করছেন। প্রতিটা মানুষের উচিত অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানো। এছাড়া ৩৩৩ নাম্বারে মেসেজ দিলেও খাবার পৌঁছে যাচ্ছে তার বাড়িতে। সবাইকে ঘরে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলেন তিনি।