নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: গুণগত মান যাচাই করে বিদেশে কৃষিপণ্য রফতানির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের জানান।
মঙ্গলবারের একনেক বৈঠকে আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে স্থাপিত উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর প্রকল্প নিয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী কৃষিপণ্য রফতানির আগে মান যাচাইয়ের কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে মাছ বা অন্য যে কৃষিপণ্য পাঠাবেন, এগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন আছে, স্বাস্থ্যসম্মত কিনা সেই প্রশ্ন আছে। বিদেশের বাজার ধরে রাখতে হবে। এজন্য আমাদের মানে এগুলো যাচাই করলে হবে না। এজন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বার বার সাবধান করেছেন এগুলো পাঠানোর ক্ষেত্রে যত্ন করে পাঠাবেন। সকল বিধিবিধান মেনে এটা পাঠাবেন।’
এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘বর্তমানে কৃষি থেকে এক বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় হয়। প্রধানমন্ত্রী সঠিকভাবে মান যাচাই করে কৃষিপণ্য রফতানি করতে বলেছেন। পাশাপাশি কৃষিপণ্য রফতানি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যাতে করে বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম আরও বাড়ে।’
তিনি জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কার্যক্রমে বালাই শনাক্তকরণে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি স্থাপনের নিমিত্তে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজের বিদ্যমান ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন করা এবং কৃষিপণ্য রফতানি ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য প্রাপ্তিতে সহায়তা করা।
জানা গেছে, ১৫৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার প্রকল্পের অধীনে জানুয়ারি ২০২১ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ মেয়াদে ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ নির্মিত হবে। প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৩১৫ বর্গফুট বিদ্যমান উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ ল্যাবরেটরি ভবন, ভৌত অবকাঠামো মেরামত, ল্যাবরেটরি (মাইকোলজি, ব্যাকটেরিওলজি, ভাইরোলজি, নেমাটোলজি, মাইক্রোবায়োলজি ইত্যাদি) যন্ত্রপাতি ক্রয় ও স্থাপন করা হবে। ১৮০ জন কর্মকর্তাকে স্থানীয় প্রশিক্ষণ ও ৬ কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত পণ্য আমদানি-রফতানিতে আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ সংরক্ষণ কনভেনশনের স্ট্যান্ডার্ড সেটিং বডির প্রণীত বিধি-বিধান অনুসরণ করার দক্ষতা অর্জন করতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বন্যাপ্রবণ এলাকায় বেশি কালভার্ট
বন্যাপ্রবণ এলাকায় বেশি সংখ্যক কালভার্ট নির্মাণের নিদের্শনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেবল প্রাকৃতিক খাল বা ক্যানেল থাকলে সেখানেই কালভার্ট নির্মাণ করলে চলবে না। মাঝে মধ্যেই কালভার্ট তৈরি করতে হবে। এতে পানির চলাচল বৃদ্ধি পাবে। জলাবদ্ধতা হবে না।’