খোকন কুমার রায়:
বেশ কিছুদিন যাবৎ করোনা তাণ্ডবে সমগ্র বিশ্বই লকডাউনে। প্রায় সকলেই যতদূর সম্ভব গৃহে অবস্থান করছেন এবং অতি প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য ব্যতীত তেমন কেনাকাটা করছেন না। সমস্ত শপিং সেন্টার বন্ধ, পোশাক-আশাক কেনাকাটাও বন্ধ। প্রতিদিন যারা বাইরে যান বেশিরভাগই ঘরে ফিরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে পোশাক ধৌত করছেন এবং অনেকে হয়তো ফেলেও দিচ্ছেন।
এ অবস্থায় করোনার সংক্রমণ যখন থেমে যাবে বা কার্যকরী ওষুধপত্র পাওয়া যাবে, সবাই তখন স্বাভাবিক জীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ফিরে আসবে।
আমাদের পোশাক শিল্প ইতিমধ্যে একটি শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছে এবং বর্তমানে অতি প্রয়োজনীয় উৎপাদন ছাড়া অন্যান্য কার্যক্রম মোটামুটি বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় শিল্প মালিকরা হয়তো দুশ্চিন্তায় আছেন।
কিন্তু আশার খবর এই যে, করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রকার পোশাক ও সজ্জাসামগ্রীর চাহিদা বাড়বে। কারণ আক্রান্ত দেশ ও এলাকার জনগণ অনেকদিন যাবৎ পোশাক কিনছেন না। তারা আবার কেনাকাটা শুরু করবেন। হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং গৃহের বিছানার চাদর, জানালার পর্দা প্রভৃতিসহ অন্যান্য কাপড়ের তৈরি সজ্জাসামগ্রীর চাহিদাও বেড়ে যাবে। মানুষ আবার নতুন উদ্যমে নিজেদের সাজাবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পোশাক বাজার স্থবির হয়ে আছে। এ অবস্থায় পোশাক ব্যবসায়ীগণ সাময়িক ক্ষতির শিকার হবেন কিন্তু পরবর্তীতে এ ক্ষতি অনেকাংশেই উসল হবে বলে আমার বিশ্বাস। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো বিশাল অংকের প্রণোদনা বাজেট দিয়েছেন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। এছাড়াও অন্যান্য নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন।
কাজেই দুশ্চিন্তা না করে করোনা-পরবর্তী বিশ্ববাজার আমাদের দখলে আনতে প্রয়োজনীয় উৎপাদন ও বিক্রয় পরিকল্পনা করুন এই গৃহবন্দীর সময়টাতে। তাতে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে আরো উপরে উঠার স্বপ্ন দেখতে দেখতে সময়টা ভালোই কাটবে আশা করা যায়।
লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, ধূমকেতু.কম।