স্বাস্থ্য

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা : বাড়াতে হবে পারস্পরিক দায়িত্ববোধ ও সহমর্মিতা

নিখিল মানখিন, ধূমকেতু ডটকম: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্তদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, কেউ একদিনে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়ে না। জটিল পর্যায়ে যাওয়ার আগে নানা উপসর্গ দৃশ্যমান হয়ে উঠে। আশেপাশে থাকা লোকজনকেই উপসর্গ বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হতে হয়। পরিবারের কেউ মানসিক সমস্যায় পড়লে অভিভাবকদের নজরদারি বাড়াতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করতে হবে। সন্তানের পাশাপাশি মা-বাবা এবং অভিভাবকদের মানসিক চাপ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে সন্তানদের নজরদারির বদলে তারা উল্টো তাদের ওপর রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারে। এ বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সর্বোপরি বাড়াতে হবে পারস্পরিক দায়িত্ববোধ ও সহমর্মিতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোকে একীভূত করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া দরকার। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে আলাদা ইউনিট গঠন করা দরকার। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য আইন, নীতিমালা ও কৌশলপত্র বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি, আন্তমন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর উদ্যোগের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখা জরুরি।

প্রান্তিক জনগণ, প্রবীণ ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগ চালু এবং বিশেষজ্ঞ তৈরি করে এই স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো দরকার। দেশে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনো সঠিক তথ্য নেই। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে পৃথক তথ্যভান্ডার থাকা উচিত। আসন্ন জনশুমারিতে এই তথ্য সংগ্রহের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। প্রতিবন্ধী মানুষদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় নিয়ে আসা দরকার।

মানসিক স্বাস্থ্যসেবাদাতাদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার দূর করতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি

বাংলাদেশে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৮-১৯–এর তথ্য অনুযায়ী, ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সের শিশুদের ১৪ শতাংশ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ মানসিক রোগে ভুগছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিষণ্নতা রোগে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং উদ্বিগ্নতা রোগে ভুগছেন ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।

মানসিক রোগে ভোগা শিশুদের ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কোনো চিকিৎসা পান না। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এ হার ৯২ দশমিক ৩ শতাংশ। করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালে এসব অবস্থার ব্যাপক অবনতি হয়েছে বলে বাংলাদেশে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপে বলা হয়েছে।

করোনা মহামারীতে পাল্টে গেছে বিশ্ব পরিস্থিতি। বদলে গেছে মানুষের জীবন ও জীবিকা। কর্মহীন হয়ে পড়ছে মানুষ। এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালা। শিক্ষা জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়া শিশু-কিশোর-তরুণদের আসক্তি বাড়ছে ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সার্বিক এই পরিস্থিতি তাদের মনোজগতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। এর প্রমাণ মিলেছে বিভিন্ন গবেষণায়।

২০২০ সালের ১৯-২৮ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৫০৯ জন শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা মূল্যায়ন নিয়ে গবেষণা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সালমার নেতৃত্ব্ পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদনটি জার্মান পাবলিক হেলথ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা, শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। গবেষণার ফলে দেখা যায়, এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ হালকা, ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ মধ্যম, ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ মাঝারিভাবে মারাত্মক এবং ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।

কী বলছে গবেষণা

করোনাকালে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে নাহিদা সালমার আরেকটি গবেষণা প্রকাশ পায়। ২০২০ সালের ২৫ এপ্রিল-৯ মে পর্যন্ত ১৫ বছরের কম বয়সী ৩৮৪ জনের ওপর এই জরিপ চালানো হয়। সেখানে দেখা যায়, ৪৩ শতাংশ শিশু অতি অল্প মানসিক অস্থিরতায় ভুগছে, ৩০ দশমিক ৫ শতাংশ অল্পভাবে, ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ পরিমিত মাঝারিভাবে, ৭ দশমিক ২ শতাংশ শিশু মারাত্মকভাবে অস্থিরতায় ভুগছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিকিৎসাবিষয়ক বিভিন্ন কোর্স, কারিকুলাম এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি সংযোজন করা জরুরি।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যনীতির খসড়া মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের অপেক্ষায় আছে বলে জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাসপাতাল অনু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান। তিনি বলেন, নীতি প্রণয়নের পর তা বাস্তবায়নে বাজেটের কোনো সমস্যা হবে না। জেলা হাসপাতালগুলোতে একজন চিকিৎসক ও দুজন নার্সকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে পরামর্শ পেতে মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেন তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার  জাতীয় পরামর্শক (মানসিক স্বাস্থ্য) হাসিনা মমতাজ বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব নেই। তবে দক্ষ জনবল এবং বাজেটস্বল্পতা আছে। এ খাতে বিনিয়োগ কীভাবে বাড়ানো যায়, পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার সুযোগ তৈরিসহ বিভিন্ন কাজ চলমান আছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ মেন্টাল হেলথ নেটওয়ার্কের সহসভাপতি অধ্যাপক ফারুক আলম বলেন, দেশের হাতে গোনা কয়েকটি হাসপাতালে মানসিক স্বাস্থ্যের বিভাগ ও দক্ষ জনবল আছে। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি দেখভালের জন্য আলাদা ইউনিট গঠনের সুপারিশ করেন।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, মানুষের মানসিকতা তৈরি হয় সামাজিক পরিবেশ থেকে। আমরা ইদানীং নৃশংসতা দেখছি মানুষের আচরণে। যোগাযোগ প্রযুক্তির এই যুগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা খুব সহজ হয়ে গেছে। ফলে আমাদের দেশের বিভিন্ন ঘটনা ছাড়াও অন্যান্য দেশের ঘটনাবলিও মানুষের আচরণে প্রভাব বিস্তার করছে। প্রযুক্তিকে অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার করছে মানুষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য আগের চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। এর কারণ সবকিছুই এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আবার মহামারীর এই সময়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে এক ধরনের মানসিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। আর মানুষ বেশি দিন মানসিক চাপ নিয়ে চলতে পারে না। মানসিক চাপ বেড়ে গেলে মানুষের হরমোনাল ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মানুষ অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তখন তারা রাগারাগী ও হিংস্র আচরণ করে। আর এসবই এক ধরনের মানসিক রোগের বহিঃপ্রকাশ।

কেউ কেউ রাগের বহিঃপ্রকাশ করে নিজের মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করে। আবার কেউ তা পারে না। যারা পারে না তারা চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটায়।

নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট বোর্ডের চেয়ারপারসন ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. মো. গোলাম রাব্বানী বলেন, আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ক্রমেই ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে এবং মানুষের ভিতর দুর্বলতা বাড়ছে। দিন দিন মানুষের ভিতর উদ্বিগ্নতা, মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০৩০ সালে মানুষের মধ্যকার বিষণ্নতা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। মানুষের বিষণ্নতা ও আবেগীয় তাড়নার ফলে তার মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। ফলে তাদের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে।

মহামারীতে আমরা সবাই স্থবির হয়ে যাচ্ছি। পৃথিবী থেকে যে পরিণতি আমরা লাভ করছি সেভাবে আমাদের দায়ভারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্য আমাদের অক্ষমতার যে দায়ভার তা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নিতে এবং পরিকল্পনা করতে হবে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে কাউন্সেলিং ও আলোচনাসহ প্রয়োজনীয় করণীয় ঠিক করতে হবে।

মানসিক সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার

মানসিক সমস্যা হলে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে তা উল্লেখ করে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও মনোবিদ অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল বলেন, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। মন খারাপ থাকা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা অনুভব করা, একই ধরনের চিন্তা বারবার মনে আসা বা একই কাজ বারবার করা, হঠাৎ আতঙ্কিত হয়ে মৃত্যুভয়ে ভীত হওয়া, কোনো কিছুতে আনন্দ অনুভব না করা, মেজাজ খিটখিটে থাকা, মনোযোগ কমে যাওয়া, সাধারণ বিষয় ভুলে যাওয়া, নিজেকে অপরাধী ভাবা, আগ্রাসী আচরণ কিংবা আত্মহত্যার চিন্তা মনে আসা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

এই মনোবিদ বলেন, সংকটময় মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়া ও মানসিক চাপে পড়ে হতাশাবোধ করা স্বাভাবিক। সবাইকে মানসিক চাপ মোকাবিলার দক্ষতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ  বলেন, খাবার, ঘুম ও ব্যায়ামের সময়সূচি ঠিক রাখতে হবে। ঘরে থাকাকে বন্দি বলে মনে করা যাবে না। গুজবে কান দেওয়া যাবে না। করোনাভাইরাসের বাইরেও জীবন আছে- সেটা মাথায় রেখে পড়ালেখা করা, নিজের যত্ন নেওয়া, বই পড়া, মুভি দেখা বা নিজের ব্যক্তিগত কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

দিনে দু’বারের বেশি করোনাবিষয়ক সংবাদ দেখার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন ডা. হেলাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী ধর্মচর্চা করাও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে মিলে ঘরের ছোটখাটো কাজ যেমন- রান্নায় সাহায্য করা, ঘর পরিস্কার করা ইত্যাদিতে অংশ নিতে হবে। বন্ধু ও সহপাঠীদের সঙ্গে সামাজিকভাবে সংযুক্ত থাকতে হবে। কিন্তু ইন্টারনেটে আসক্ত হওয়া চলবে না। বাবা-মাকে সন্তানের জন্য পৃথক করে সময় দিতে হবে। তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

এদিকে আজ রোববার (১০ অক্টোবর) সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে “বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস”। এ দিবসটি হলো পৃথিবীর সবার মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সচেতনতার দিন। ১৯৯২ সালে প্রথমবার এ দিবসটি পালন করা হয়। কিছু দেশে একে মানসিক রোগ সচেতনতা সপ্তাহের অংশ হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় বিষয়— “অসম বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য”।

আরো পড়ুন

আবারো সতর্ক করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *