ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটানের রাজস্ব আয়ের বড় অংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশটিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে সীমান্ত বন্ধ। নেই কোনো পর্যটক। এ যেন খরার মৌসুম। সেই খরাই যেন কাটার ইঙ্গিত পাওয়া গেল যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর বাসিন্দা ফ্রান বাকের ভুটানে পা রাখার মধ্য দিয়ে। অনেক দিন পর দেশটির বুকে পা পড়ল কোনো পর্যটকের। আর তাই তো ফ্রান বাকের ছবি বেশ ঘটা করে প্রথম পাতায় ছেপেছে দেশটির পত্রিকাগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ফ্রান বাক গত মাসে ভুটান ভ্রমণে যান। এক বছরের বেশি সময় পর্যটন খাত বন্ধ থাকার পর তিনি ছিলেন দেশটিতে প্রথম পর্যটক। আর তাই তো দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা ফ্রান বাকের প্রতি বাড়তি মনোযোগ দিয়েছিলেন। ভুটানের গণমাধ্যমও তাঁর অপেক্ষায় ছিল। তিনি যখন উড়োজাহাজ থেকে নামেন, তাঁর ছবি তোলা হয়। সে ছবি ছাপা হয় পত্রিকার প্রথম পাতায়। এ যেন রাজকীয় বরণ! ফ্রান বাকের প্রতি এ বাড়তি মনোযোগের কারণ হলো, তাঁর ভ্রমণের মধ্য দিয়ে ভুটানের পর্যটন খাত আবার জেগে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন।
সাড়ে সাত লাখ জনসংখ্যার দেশ ভুটানে গত বছরের মার্চে করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনো দেশটিতে সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। তবে সরকার প্রতিটি আবেদন যাচাই–বাছাই করে পর্যটন ভিসার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
ফ্রান বাক এর আগেও অবশ্য ভুটানে এসেছেন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে তিনি দেশটিতে ভ্রমণ করেছেন। সে সময় ভুটানে এক মাস থাকার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। তবে দেশটির সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে তিনি তিন মাস কাটিয়ে দেন। এবার অবশ্য ফ্রান বাকের ভুটান ভ্রমণে যাওয়াটা খুব সহজ ছিল না। তাঁর ট্রাভেল এজেন্সি সরকারের কাছে বিশেষ অনুরোধ জানায়। সেই অনুরোধ পর্যলোচনা শেষে দেশটির ট্যুরিজম কাউন্সিলসহ অন্যান্য সংস্থা তাঁকে অনুমতি দেয়। কিন্তু শর্ত দেয় তিন সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ফ্রান বাক সে শর্ত মেনে নেন।
ভুটানের ট্রাভেল এজেন্সি মাই ভুটানের প্রতিষ্ঠাতা ম্যাথু দ্যসান্টিস বলেন, ‘বর্তমানে ভুটানে পর্যটন আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ। তবে যাচাই–বাছাই করে পর্যটক ভিসা দেওয়া হচ্ছে। তবে নিয়ম হচ্ছে যাঁদের টিকা দেওয়া আছে, তাঁদের ১৪ দিন এবং যাঁদের টিকা দেওয়া নেই, তাঁদের ২১ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।’
আরো পড়ুন:
টিকা নিলে ১০ দেশ থেকে থাইল্যান্ডে ঘুরতে যাওয়া যাবে