ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠছে সূর্য। ইদানীং প্রায়ই সৌরঝড় হচ্ছে। সূর্য থেকে প্রচণ্ড গতিতে ছুটে যাচ্ছে তেজস্ক্রিয় উপাদান। এর কিছু কিছু পৌঁছাচ্ছে পৃথিবীতেও। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে বাধা পেলেও চুম্বকক্ষেত্রের প্রভাবে জমা হচ্ছে দুই মেরুতে। আর তাতেই তৈরি হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন অরোরা বা মেরুজ্যোতি। উত্তর মেরুতে হলে নর্দার্ন লাইটস আর দক্ষিণে হলে বলা হচ্ছে সাউদার্ন লাইটস।
সবুজাভ আলোর চমৎকার এই ঢেউ কেবল পৃথিবীবাসীর চোখে নয়, ধরা পড়েছে মহাকাশ থেকেও। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে তোলা ছবিতে দেখা যায়, উত্তর মেরুতে উজ্জ্বল সবুজ আলোর বলয় পৃথিবীর বাঁকা পৃষ্ঠ ধরে ক্রমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) ফরাসি নভোচারী টমাস পেসকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের চলতি অভিযান শেষে পৃথিবীতে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। অরোরার ছবিটি তারই তোলা। টুইটারে সেটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘এই পুরো অভিযানের সবচেয়ে শক্তিশালী অরোরার দেখা পেলাম, উত্তর আমেরিকা এবং কানাডার ওপর। (আলোর) চমৎকার চূড়াগুলো আমাদের কক্ষপথের চেয়েও উঁচু এবং আমরা বলয়ের কেন্দ্রের ঠিক ওপর দিয়েই উড়ে গিয়েছি। চারদিকে ঢেউয়ের স্পন্দন।’
সূর্য থেকে তড়িতাহিত সৌরকণা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আঘাত করলে তৈরি হয় অরোরা। নাসা যেমন লিখেছে, ‘আমরা যখন উজ্জ্বল অরোরা দেখি, আসলে আমরা দেখি কোটি কোটি স্বতন্ত্র সংঘর্ষ, এতে পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্র উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।’
এসব অবশ্য বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা। পেসকের ছবি দেখতে এত বিজ্ঞান না বুঝলেও চলে। হয়তো প্রকৃতির উদ্যাপন বলা চলে। কিংবা সূর্যের সঙ্গে আমাদের গ্রহের যোগসূত্রের প্রমাণ।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে এর আগেও অরোরার অনেক ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছেন নভোচারীরা।
আরো পড়ুন:
ছায়াপথের বাইরে প্রথম গ্রহের লক্ষণ দেখলেন বিজ্ঞানীরা