উৎসব-পার্বণ

মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে দুর্গাপূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে রংপুরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। বেশির ভাগ মণ্ডপে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে।

নগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, দুর্গাপূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে চলছে ব্যাপক সাজসজ্জা। প্রতিটি মণ্ডপের জন্য তৈরি হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, অসুর, সিংহ, হাস, পেঁচাসহ বিভিন্ন প্রতিমা। অধিকাংশ মণ্ডপে চলছে কারিগরেরা রং আর সাজসজ্জায় ফুটিয়ে তুলছেন দুর্গার পূর্ণ অবয়ব। বৃষ্টি থেকে প্রতিমা বাঁচাতে মণ্ডপগুলোতে ত্রিপলের ছাউনি তৈরি করা হয়েছে।

রংপুর নগরীর চিলমন পূর্বপাড়া শারদীয় দুর্গা মন্দির কমিটির সদস্য গৌরাঙ্গ রায় জানান, মণ্ডপগুলোতে এখন প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিল্পীরা রংতুলির কাজে ব্যস্ত।

নগরীর একটি মণ্ডপে কথা হয় প্রতিমা শিল্পী অলক পালের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতি বছর পূজার তিন মাস আগে থেকে প্রতিমা তৈরির কাজে তার ব্যস্ততা শুরু হয়। এই কযেক মাস দিনরাত কাজ করতে হয়।

“আর মাত্র কয়েক দিন বাকি আছে দুর্গাপূজার। প্রতিমা মোটামুটি তৈরি হয়েছে। এখন শুধু রং দিয়ে সৌন্দর্যবর্ধিত করতে হবে।”

সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব সঞ্জিত কুমার নাড়ু বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে পূজামণ্ডপের সংখ্যা ‘কমে গেছে’। পাশাপাশি গতবারের থেকে এবার বেড়েছে প্রতিমা তৈরির মজুরিও বেড়েছে। দুর্গাপূজাকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

রংপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ধীমান ভট্টাচার্য বলেন, এবার রংপুরে ৯৫৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। এর মধ্যে নগরীতে ১৫৪টি ও ৮ উপজেলায় ৮০২টি মণ্ডপে। এরই মধ্যে মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ শেষ হয়েছে।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপনে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের রংপুর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ধনজিৎ ঘোষ তাপস বলেন, “দুর্গাপূজা যাতে সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় এ জন্য জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দুর্গোৎসব সুষ্ঠভাবে সম্পন্নের জন্য কাজ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসব পালন করব। ”রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার জানান, প্রতিমা তৈরি, পূজা উদযাপন এবং প্রতিমা বিসর্জনসহ দুর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক রয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে স্বাস্থবিধি মেনে পূজা উদযাপনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

জমে উঠেছে পূজার কেনাকাটা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *