পর্যটন ও পরিবেশশৈশব-কৈশোর

ফ্যান্টাসি কিংডমে বিনামূল্যে বিনোদনের সুযোগ পেলো মজার ইশকুলের শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: ভোরের সদ্যফোটা পবিত্র কিছু ফুল অনাদরে পড়ে থাকে পথের ধারে। বিবেকবর্জিত সমাজে তাদের কেউ বলে পথকলি, কেউ বলে টোকাই, কেউ বলে পথশিশু। সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের নির্মল আনন্দ ও চিত্তবিনোদনের জন্য দেশসেরা বিনোদন পার্ক ‘ফ্যান্টাসি কিংডম কমপ্লেক্স’ গত ১৩ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর-২০২১ বিনামূল্যে ৩০০ পথশিশুর পার্কে প্রবেশ, বিভিন্ন রাইডে চড়ার সুযোগ, ঢাকা থেকে ফ্যান্টাসি কিংডমে বিনামূল্যে যাতায়াত ব্যবস্থা, সকাল এবং দুপুরের খাবারের আয়োজনসহ সারাদিন বিনোদনের ব্যবস্থা করেছে।

অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের এক মহতী উদ্যোগ ‘মজার ইশকুল’। এই মজার স্কুলে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে, স্বপ্নের মতো এক কল্পনার রাজ্যে যেন নিজের মতো করে আনন্দে আত্মহারা হয়, যা তাদের বাড়ন্ত জীবনে অসম্ভব, পথশিশুদের এমনই এক সুযোগ করে দেয় ‘কনকর্ড গ্রুপ’।

অদম্য ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সাথে দেশের সুবিখ্যাত এমিউজমেন্ট পার্ক ‘ফ্যান্টাসি কিংডম’ একাত্মতা ঘোষণা করে পথশিশুদের কল্পনার রাজ্যে ডানা মেলে উড়ে বেড়ানোর আর ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেয়।

গত ১৩ নভেম্বর ২০২১ মজার ইশকুল-ফ্যান্টাসি কিংডম ট্যুরে অংশ নিয়েছিল ১৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু। এর পরের সপ্তাহে ২০ নভেম্বর ২০২১ উপরি-উল্লিখিত ট্যুরে আরো ১৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু অংশ নিয়ে আনন্দে উদ্ভাসিত হয়। এই ট্যুরের পুরোদিনটিতেই তাদের মাঝে ছিল কল্পনাতীত খুশির আমেজ। জীবনের সকল কষ্ট, অভাব, দুঃখ, অবসাদ ভূলে তারা যেন খুঁজে পেয়েছিল নতুন জীবনের এক অবারিত আনন্দের স্বাদ।

এ প্রসংঙ্গে কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অনুপ কুমার সরকার বলেন, সমাজের প্রতিটি স্তরেই প্রতিটি মানুষের কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট লি.-ও এর ব্যতিক্রম নয়। কোমলমতি শিশুদের বিনোদনের বিশেষ আকর্ষণ এই এমিউজমেন্ট পার্ক। সেই ক্ষেত্রে অর্থাভাবে এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের এসব পার্কে এসে ঘুরেফিরে বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দ করার কোনো সুযোগই থাকে না। তাই মজার ইশকুলের পথশিশুদের আনন্দ দানের এই মহতী উদ্যোগকে আমরা ফ্যান্টাসি কিংডম সাধুবাদ জানিয়ে তার সাথে যুক্ত হতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। আমাদের সকলের উচিত শিশুদের জন্য নির্মল আনন্দ আর চিত্তবিনোদনের জন্য যথাসম্ভব ব্যবস্থা করা। কারণ মানসিক বিকাশে বিনোদন অপরিহার্য। আমার-আপনার সন্তানের মতো এই সকল সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদেরও রয়েছে ভালোভাবে সমাজের সকল সুবিধা নিয়ে বেঁচে থাকার সমান অধিকার।

করোনাকালীন দীর্ঘ সময়ে সকল শিশু ছিল ঘরবন্দি। ফ্যান্টাসি কিংডমসহ দেশের সকল বিনোদন পার্কগুলো বন্ধ ছিল সরকারি নির্দেশনায়। করোনার প্রকোপ কমাতে পার্কগুলো খুলে দেওয়ার পর মজার ইশকুল ও ফ্যান্টাসি কিংডমের সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের দুই দিনব্যাপী বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থা করা এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। যা পথশিশুদের জন্য কিছু করার ক্ষেত্রে অন্যদেরও উদ্ভুদ্ধ করবে। এভাবে সকল পথশিশুর মুখে হাসি ফুটে উঠুক অবিরত।

আরো পড়ুন:

বেড়েছে ভারত-বাংলাদেশ যাত্রী যাতায়াত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *