রাশিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে রয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া দল। যদিও নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
একটি ‘এক্সিট পোল’ বা বুথফেরত জরিপ ক্ষমতাসীন দলের নিরঙ্কুশ জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ সরকারের সবচেয়ে সোচ্চার সমালোচকদের পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এবং অবৈধভাবে ব্যালটবাক্স ভর্তি করাসহ জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার অনেক তথ্যও পাওয়া গেছে। যদিও নির্বাচন কমিশন এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
মস্কোর ‘ডুমা’ বা পার্লামেন্টের সাড়ে ৪০০ এমপি নির্বাচনে ভোট হয়। মোট ১৪টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৫০ শতাংশ ভোট গণনায় প্রাপ্ত প্রাথমিক ফলাফলে ইউনাইটেড রাশিয়া ৪৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি। তারা ২১ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
গতকাল রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ইউনাইটেড রাশিয়া নিজেদের বিজয়ী বলে দাবি করে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সম্প্রচারে দেখা যায়, ইউনাইটেড রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আন্দ্রেই তুরচাক মস্কোতে সমর্থকদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তিনি নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও সৎভাবে বিজয় অর্জিত হয়েছে বলে দাবি করেন।
তবে, প্রাপ্ত আংশিক ফলাফলে দেখা গেছে—পুতিনের দল পার্লামেন্টে সহজে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখলেও, প্রায় এক-পঞ্চমাংশ সমর্থন হারিয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে দলটি ৫৪ শতাংশ ভোটে জিতেছিল। সে তুলনায় কমিউনিস্টদের সমর্থন বেড়েছে আট শতাংশ।
জেলে থাকা ক্রেমলিনের সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনির জীবনযাত্রার মান নিয়ে উদ্বেগ এবং নাভালনির করা দুর্নীতির অভিযোগ পুতিনের দলের সমর্থন কমায় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে, পুতিন এখনও অনেক রুশ নাগরিকের কাছে জনপ্রিয়। পুতিনের সমর্থকেরা তাঁকে পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং জাতীয় গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য কৃতিত্ব দিয়ে থাকেন।
/জেড এইচ