ভেনিসের আকোয়া আলতা লাইব্রেরি পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত

ভেনিসের আকোয়া আলতা লাইব্রেরি পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে প্রতিদিন। প্রতিদিন হাজারো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকে ইতালির ভেনিসের ‘আকোয়া আলতা’ লাইব্রেরি।

হাজার বছরের লিখিত বা অলিখিত ইতিহাস থরে থরে সাজানো রয়েছে এখানে। প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো ক্রেতা ও দর্শনার্থী ভিড় জমান লাইব্রেরিটিতে।

অন্তহীন জ্ঞানের আধার বই। সৃষ্টি থেকে বিশ্বের জ্ঞানীদের জ্ঞানের আলোক রশ্মি এক ছাদের নিচে নিয়ে আসার প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে লাইব্রেরি। বর্তমান ইন্টারনেট যুগ বা আধুনিক লাইব্রেরির ভিড়ে ভেনিস সেন্টারের ‘আকোয়া আলতা’ লাইব্রেরি অনেকটাই ব্যতিক্রম। মধ্যযুগের পুরনো আদলের লাইব্রেরিটি প্রতি বছর লাখ লাখ ভ্রমণকারীর পদচারণায় মুখরিত থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকরা এখানে এসে মুগ্ধ হচ্ছেন প্রতিদিন।

তারা বলছেন, বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় লাইব্রেরি এই আকুয়া আলতা, যা ভেনিসে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ব্যতিক্রমধর্মী এই লাইব্রেরি সাহিত্যের সম্ভার।

‘আকোয়া আলতা’র বাংলা অর্থ ‘জোয়ারের পানি’। এখানে প্রবেশ করতে প্রথমেই অতিক্রম করতে হয় বিশাল দর্শনার্থীদের ভিড়। মাঝখানে বিরাট গোন্দল নৌকায় স্তরে স্তরে সাজানো বই। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের বই রয়েছে এখানে। অনেক দেশের প্রকাশক ও লেখক নিজেদের বই উপহার দিয়ে থাকেন।

আবার অনেক সময় অনেকের ঘরে জমে থাকা পুরনো বইগুলোর স্থান হয় এই লাইব্রেরিতে। আর তাই ‘আকোয়া আলতা’ লাইব্রেরি বিশ্বের লেখক ও প্রকাশকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। ভেনিসে ঘুরতে আসা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাঠকরা সহজেই তাদের প্রিয় লেখকের বইটির সন্ধান পেয়ে যান এখানে।

তিন প্রজন্মের এই লাইব্রেরির মালিক মালিক লুইজি জামকারলো বলেন, আমার বয়স তখন ২২ বছর। তিন পুরুষের লাইব্রেরি ব্যবসার হাল ধরি। ৩টি ভেঙে একটি বিশাল লাইব্রেরি করেছি। অনেক মানুষ আসেন এখানে। দুটি গোন্দল নৌকার মধ্যে একটিতে বই সাজানো রয়েছে। অন্যটি ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ছবি তোলার জন্য।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেট ও অনলাইনের চাপে লাইব্রেরি যখন দিন দিন বন্ধ হচ্ছে, সেখানে ভেনিসের আকোয়া আলতা লাইব্রেরি হাজারো পর্যটকদের মুগ্ধ করছে। প্রতিদিনই সেখানে বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *