ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই দিন পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৯ আগস্ট শুনানিতে আদালত বলেছেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন সত্যি হয়ে থাকলে অবশ্যই নিন্দনীয়। এটা অপ্রত্যাশিত। তার মুখ থেকে এ ধরনের ভাষা আশা করা যায় না।
গত জুলাই মাসে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও একজন অভিভাবকের ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফাঁস হলে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফোনালাপের সময় অধ্যক্ষ কামরুন নাহার কথা বলার এক পর্যায়ে একজন অভিভাবককে বলেন, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কোনো … বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগবো, আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি দেশছাড়া করবো।’
৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের অডিওতে অধ্যক্ষের সঙ্গে অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর মধ্যে চলা ওই কথোপকথনে কামরুন নাহার বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে আমি অফিস করি কি না করি কার বাপের কী? আমি রাজনীতি করা মেয়ে, আমি কিন্তু ভদ্র না।’ কামরুন নাহার ফোনালাপে আরো বলেন, ‘আমি বলে দিলাম, আমি শিক্ষক। আমি প্রিন্সিপাল। ওই … পোলা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু তার গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়বো।’
কামরুন নাহার শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বরে তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কামরুন নাহারের পূর্বেও এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার কারণে ওই অধ্যক্ষকেও প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
/জেড এইচ