জাতীয়

ভাড়াও নিচ্ছে বেশি, পাশের আসনেও যাত্রী

কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করার পর দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে সরকারঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে শিথিলতা দেখা গেছে। তা ছাড়া বর্ধিত ভাড়া আদায় করলেও পাশের সিট খালি না রেখেই যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে কোনো কোনো বাস কোম্পানিকে।

আজ বেলা একটার দিকে ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর রুটে ছেড়ে যাওয়া ইকোনো পরিবহন ও একুশে এক্সপ্রেস পাশের সিট খালি না রেখেই বর্ধিত ভাড়া আদায় করছিল।

ইমাম মেহেদী ও জাহাঙ্গীর আলম ইকোনো বাসের পাশাপাশি সিটে বসেছেন। জানতে চাইলে দুজনই অভিযোগ করেন, টিকিট নেওয়ায় সময় কাউন্টারে বলা হয়েছিল পাশের সিট খালি রাখবে। পরে বাসে উঠে দেখি পাশের সিট খালি নেই। তবে ৬০ শতাংশ হিসেবে ভাড়া ৬০০ হলেও ৫০০ টাকা রাখায় যাত্রীরা তেমন আপত্তি করছে না বলে জানান তাঁরা। নন এসি বাসে এ রুটের আগের ভাড়া ৪০০ টাকা।

একই সময়ে ছেড়ে যাওয়া একুশে এক্সপ্রেসে উঠে সাংবাদিক পরিচয় দিলে ছেড়ে দেয় বাসটি। এ বাসের সব আসনেই যাত্রী পরিপূর্ণ ছিল। চালকের মুখে একটি ময়লা মাস্ক থাকলেও হেলপারের মুখে কোনো মাস্ক ছিল না।

লাল সবুজ পরিবহনের নোয়াখালীর যাত্রী মো. হোসেন বলেন, কয়েকটি বাস ছাড়া কেউই পাশের সিট খালি রাখছে না। ঢাকা থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত লাল সবুজ পরিবহনের পূর্বের ভাড়া ছিল ৩৫০ টাকা, বর্ধিত ভাড়া ৫৫০ টাকা।

পাশের সিট খালি না রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে ইকোনো পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার উৎপল মজুমদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের পরিবহনে এখনো বেশি যাত্রী যাচ্ছে না। ঈদের দুই দিন আগে যাত্রীর চাপ হতে পারে।’

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর রুটে ছেড়ে যাওয়া বাসের বিরুদ্ধে পাশের সিট খালি না রাখার অভিযোগ পেলেও এ টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার রুটে যাওয়া পরিচিত পরিবহন কোম্পানির বাসসহ অন্যদের পাশের সিট খালি রেখে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।

ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ রুটের দিগন্ত এক্সপ্রেস পাশের সিট খালি রাখলেও যাত্রীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতায় শিথিলতা চোখে পড়ে। একটি প্লাস্টিক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন মনির ও সামিউল—সামনাসামনি সিটে বসেছেন। জানালেন, আগে ভাড়া ২৫০ টাকা থাকলেও এখন ভাড়া ৫০০ টাকা রাখা হচ্ছে।

হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার এনামুল হক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে যাত্রীদের সতর্ক করেন তাঁরা। বর্ধিত হারে এ পরিবহনে চট্টগ্রামে ও সিলেটে যেতে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৭৫০ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *