চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমি ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে গতকাল অ্যাডিলেড ওভালে বৃষ্টি আইনে ভারতের কাছে ৫ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ দল। আলোচনা-সমালোচনায় ভরা এমন ম্যাচে ফেক ফিল্ডিং ও ভেজা মাঠ নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু আম্পায়াররা তা কানে তোলেননি। তাই এই দুই বিষয় নিয়ে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিতে অভিযোগ করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) অ্যাডিলেডে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জালাল ইউনুস বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে যা ঘটেছে তার সব কিছুই চোখের সামনে ঘটেছে। একটা ফেক থ্রো করা হয়েছিল। আম্পায়ারকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা বিষয়টি না দেখায় রিভিউ নেননি। সাকিব মাঠে এবং মাঠের বাইরে আম্পায়ার ইরাসমাসের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছে।’
ক্রিকেটের বাইবেল এমসিসির ৪১.৫ ধারায় রয়েছে, কোনো ফিল্ডার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ফেক ফিল্ডিং করে ব্যাটারকে রান নেওয়ায় বাধা সৃষ্টি করেন, তবে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। যার শাস্তিস্বরূপ হিসেবে পাঁচ রান জরিমানা করা হবে।
তবে আম্পায়ার ইরাসমাসের সামনেই বিরাট কোহলির এমন কাণ্ডের পরও কোনো ব্যবস্থা নেন নি। এ ছাড়া বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ থাকায় সাকিব মাঠ শুকানোর জন্য সময় চেয়েছিলেন।
এই বিষয়ে বিসিবির এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘সাকিব ভেজা মাঠ নিয়েও কথা বলেছিল। সে কিছুটা সময় চেয়েছিল। মাঠ শুকালে খেলা শুরুর অনুরোধ করেছিল। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এসব নিয়ে তর্কে যাওয়ার সুযোগ নেই। শুধু বলতে হবে, খেলবো কী খেলবো না।’
বাংলাদেশ ও ভারতের ওই ম্যাচে আরও ঘটনা ঘটেছে। যেমন- কোহলি ওয়াইড, বাউন্সের সিগনাল দিয়ে আম্পায়ারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। ফেক ফিল্ডিংও তার হাত থেকেই এসেছে।
বিসিবি এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, ‘কিছু হলেই যে বোর্ডের মাধ্যমে আলাপ করা হবে, ব্যাপারটা এত সহজ না। এটা তো স্কুল নয় যে, আপনি গিয়ে হেডমাস্টারের কাছে অভিযোগ করবেন। পরিস্থিতিটা সে রকম না। তারপরও আমরা যেন প্রপার ফোরামে গিয়ে কথা বলতে পারি, সেটা মাথায় আছে।’