ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই ভিন্ন আমেজ, ভিন্ন উত্তেজনা। রাজনৈতিক কারণে দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ থাকায় তাদের দ্বৈরথ দেখার একমাত্র উপায় আইসিসি ইভেন্ট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ রোববার (২৪ অক্টোবর) মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বহুল প্রতিক্ষীত ভারত-পাকিস্তান মহারণ। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়। যা সরাসরি দেখা যাবে বিটিভি, গাজী টিভি, টি স্পোর্টস, পিটিভি স্পোর্টস ও স্টার স্পোর্টসে।

অবশ্য বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের সেই জৌলুস এখন আর নেই। ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একপেশেভাবে জয় ভারতের। বিশ্বকাপের ময়দানি লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত এগিয়ে ১২-০ ব্যবধানে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তারা এগিয়ে ৭-০ তে। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত এগিয়ে ৫-০ ব্যবধানে।

তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উইকেট যে আচরণ করছে তাতে আজ যেকারও পক্ষেই যেতে পারে ফল। পাকিস্তান চাইবে অতীতের হারের ধারা পাল্টে জয় ছিনিয়ে নিতে। আর ভারত চাইবে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে।

অবশ্য এই ম্যাচকে সামনে রেখে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি অতীতের জয় ও রেকর্ড নিয়ে ভাবছেন না। তিনি রীতিমতো সমীহ করছেন তারুণ নির্ভর পাকিস্তান দলকে, ‘আমরা আসলে অতীত রেকর্ড নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করিনি। এটা করিও না। আর এসব নিয়ে বেশি ভাবলে তা ফোকাসে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এই ধরনের ম্যাচকে সামনে রেখে আপনি কিভাবে এবং কতোটুকু প্রস্তুতি নিচ্ছেন, নির্ধারিত দিনে আপনি কিভাবে পারফরম্যান্স করছেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান পাকিস্তান দল খুব শক্তিশালী। একাধিক প্রতিভাবান ক্রিকেটার তাদের দলে রয়েছে। এমন অনেক ক্রিকেটার রয়েছে যারা যে কোনও মূহুর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এই ধরনের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরা পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামতে হবে। আমাদের সবাইকে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।’

ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে হারের বৃত্ত ভাঙার প্রাণপণ চেষ্টা করবে পাকিস্তান। আরব আমিরাত অবশ্য কথা বলছে তাদের পক্ষে। এখানে অধিনায়ক বাবর আজমের নেতৃত্বে পাকিস্তান কখনো হারেনি টি-টোয়েন্টিতে। অবশ্য এখানে আইপিএল খেলে কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে ভারতও।

ভারতের কাছে বিশ্বকাপে বার বার হারা নিয়ে বাবর বলেছেন, ‘সত্যি বলতে যা চলে গিয়েছে সেটা আমাদের কাছে অতীত। আমরা এখন এই ম্যাচটা নিয়ে ভাবছি। নিজেদের দক্ষতা, সামর্থ আর আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে চাই। যাতে আমরা ভালো ফল করতে পারি। রেকর্ড তো ভাঙার জন্যই তৈরি হয়।’

ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের আস্থা বাবর-রেজওয়ানের উদ্বোধনী জুটি। মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের অভিজ্ঞতাও তাদের শক্তি আর সাহস জোগাবে। শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলীরা পেস আক্রমণের ভরসার জায়গা।

অবশ্য ভারত দলে তারকার ছড়াছাড়ি। ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়েরও কমতি নেই। রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল টপ অর্ডারে ভারতের ভসরার নাম। বল হাতে পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ যেকোনো পরিস্থিতিতে সবচেয়ে সেরা। তার সঙ্গে রয়েছে ভারতের বৈচিত্রময় স্পিন আক্রমণ। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষের এই ম্যাচে ভারত নিঃসন্দেহে ফেভারিট।

এখন দেখার বিষয় ম্যাচের দিনের স্নায়ু চাপ সামাল দিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারে কারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *