ভারতের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে নিতে চায় পাকিস্তান
ভারতের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে নিতে চায় পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী বিরোধের পাশাপাশি ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যকার ভালো সম্পর্ককে বাধাগ্রস্ত করে। এমন সব সমস্যা সমাধান করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
রোববার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনে প্রকাশিত শাহবাজের দেওয়া এক বার্তার বরাতে এ খবর জানিয়েছে রুশ গণমাধ্যম আরটি।
শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আমাদের জনগণ এবং এই অঞ্চলের অগ্রগতি ও আর্থসামাজিক উন্নতির জন্য অপরিহার্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্পর্ককে (ভারত-পাকিস্তান) এমন একটি স্তরে নিয়ে আসার জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুসহ সব অমীমাংসিত বিরোধের অর্থপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রয়োজন।’
আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখতে পাকিস্তান ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ দাবি করে শাহবাজ শরিফ বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসলামাবাদের অবদান ‘সুপরিচিত এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত’।
বছরের পর বছর ধরে একে অপরের ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থন করার অভিযোগ আনছে ইসলামাবাদ এবং নয়াদিল্লি। শাহবাজের মতে, ‘পাকিস্তান এবং ভারত উভয়ই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। আঞ্চলিক নিরাপত্তার উন্নতিতে এবং জনগণের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের যৌথভাবে কাজ করা উচিত।’
এর আগে, ভারত সন্ত্রাসমুক্ত একটি অঞ্চল গঠন করে শান্তি ও স্থিতিশীলতায় আগ্রহী উল্লেখ করে গত সপ্তাহে পাকিস্তান সরকারের প্রধান হওয়ার জন্য শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানান নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আগামী জুলাই মাসে উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনের সময় মোদি এবং শরিফের মধ্যে একটি বৈঠক আয়োজনের জন্য উভয়পক্ষ কাজ করছে।
বিগত কয়েক দশক ধরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ি আছে কাশ্মীর। কারণ, উভয় দেশই এই অঞ্চলটিকে তাদের নিজস্ব এলাকা বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু দুই দেশ শুধু অঞ্চলটির ভিন্ন ভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
কাশ্মীর ইস্যুতে ১৯৪০ এবং ১৯৬০ সালে দুই দফায় যুদ্ধে জাড়িয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। ২০২১ সালের শুরুর দিকেও বড় ধরনের একটি সংঘাত এড়িয়েছে প্রতিবেশী এই দেশ দুটি।