ভারতের সঙ্গে এয়ার বাবলের আওতায় খুব শিগগির আকাশপথে যোগাযোগ চালু হচ্ছে না। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে বাংলাদেশের দেওয়া প্রস্তাব এখন ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যাচাই করে দেখছে। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তবে আকাশপথে যোগাযোগ চালু না হলেও বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১১ আগস্ট থেকে ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্রগুলো (আইভিএসি) খুলে দেওয়া হয়েছে। মূলত দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এয়ার বাবলের আওতায় ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি সামনে রেখে ভারতীয় ভিসা দেওয়া শুরু হয়।
এয়ার বাবলের আওতায় ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে গতকাল পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, এই সপ্তাহে হয়ে যাবে। ২২ আগস্ট থেকে শুরুর একটি তারিখ ছিল। আমাদের প্রস্তাবটি তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবেচনায় রয়েছে। আমাদের হাইকমিশনার বিষয়টি নিয়ে সেখানে যোগাযোগ করছেন। আশা করছি, শিগগিরই বিষয়টির সুরাহা হয়ে যাবে।’
তিনি জানান, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী দিল্লি যাচ্ছেন। তিনি সেখানে গিয়ে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে কথা বলবেন বলে আশা করছেন।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কমে যাচ্ছে। সুতরাং ফ্লাইট চালুতে সমস্যা দেখি না।’
এর আগে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক অনুষ্ঠানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এয়ার বাবলের আওতায় ২০ আগস্ট থেকে ভারতের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ চালুর কথা জানিয়েছিলেন।
ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে স্থল এবং আকাশপথে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
তবে একান্ত না ফিরলেই নয় এমন ব্যক্তিরা ভারত থেকে বাংলাদেশ মিশনের অনাপত্তিপত্র নিয়ে কয়েকটি স্থল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরতে পারছেন। এ ছাড়া পণ্য পরিবহন চালু আছে।
স্থল সীমান্ত কবে খুলে দেওয়া হবে- জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, স্থল সীমান্ত ২৮ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
/জেড এইচ