ব্যক্তিত্ব

ভারতের মন্ত্রিসভায় স্থান করে নিলেন গাইবান্ধার নিশীথ

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: ভারতের মন্ত্রিসভায় রদবদলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদে স্থান পেয়েছেন গাইবান্ধার নিশীথ প্রামাণিক। তার পৈতৃক বাড়ি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের ভেলাকোপা গ্রামে বইছে খুশির বন্যা।

বুধবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিশীথ প্রামাণিক

এ প্রাপ্তিতে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভেলাকোপা গ্রামে তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। খুশিতে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করছেন তারা।

শনিবার (১০ জুলাই) বিকেলে নিশীথ প্রামাণিকের জ্যাঠা দক্ষিণা রঞ্জন প্রামাণিক বলেন, নিশীথ প্রামাণিক তার ছোট ভাই বিধু ভূষণের একমাত্র সন্তান। দেশভাগের আগে ভারতের কোচবিহারে পাড়ি জমান তিনি। এরপর সেখানে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে প্রথমে ঢাকায় এরপর গ্রামের বাড়ি ভেলাকোপায় বেড়াতে এসেছিলেন নিশীথ।

তিনি বলেন, ভারতে লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন নিশীথ। কিছুদিন পরে শিক্ষাকতা ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। প্রথমে ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার যুব সেক্রেটারি ছিলেন নিশীথ। এরপর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে কোচবিহারের সাংসদ (এমপি) নির্বাচিত হন।

২০২১ সালে বিধানসভার ভোটে এমএলএ নির্বাচিত হন।  নিশীথ শুধু আমাদের পরিবারের না পুরো গ্রামবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছে। তাই আজ তারা আনন্দে আত্মহারা। এজন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ।

নিশীথের জ্যাঠাতো ভাই সঞ্জিত কুমার প্রামাণিক জানান, কম্পিউটার বিষয়ে স্নাতক করেছেন নিশীথ। তিনি ছোট বেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। মাত্র পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে নিশীথ ভারতের প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি। ভবিষ্যতে নিশীথ আরো ভালো করবে বলে প্রত্যাশা করছি।

ভেলাকোপা গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার জোসেন বলেন,  নিশীথ প্রামাণিক ভারতের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন। এ কারণে ভেলাকোপার মানুষ খুবই আনন্দিত ও গর্বিত।

হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রুহুল আমিন চৌধুরী রুশো বাংলানিউজকে বলেন, আমার ইউনিয়নের একজন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এটা শুধু আমাদের না গাইবান্ধা জেলা তথা পুরো বাংলাদেশের গর্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *