ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবিভারতীয় কিছু গণমাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার খবর প্রকাশের কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লির মার্কাজ মসজিদে তাবলিগ জামাতের সমাবেশ থেকে করোনা ছড়ানোর খবরের বিরোধিতা করে দায়ের করা একটি মামলার শুনানিতে এই সমালোচনা করেন দেশটির প্রধান বিচারপতি।
ওই ঘটনায় ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দেশটির প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা বলেন, আমি জানি না কেন এটা হচ্ছে? সবকিছুকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি দেওয়া হয়েছে। ওয়েব পোর্টালগুলো কারও নিয়ন্ত্রণে নেই। আপনি যদি ইউটিউবে যান তাহলে দেখতে পাবেন কতটা ভুয়া খবর এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার হচ্ছে। যে কেউ এটি শুরু করতে পারে।
এ সময় সাম্প্রদায়িক খবর প্রকাশ বা সম্প্রচার বিষয়ে সরকারি নিয়ন্ত্রণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা টিভি চ্যানেলে যা দেখানো হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি-না, সে বিষয়ে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে জানতে চান তিনি।
উত্তরে তুষার বলেন, দেশে (ভারত) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং নাগরিকদের সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রয়েছে। আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি যে, কোনো অপ্রীতিকর তথ্য বা সংবাদ যেন প্রচারিত না হয়। ব্রডকাস্টার এবং ওয়েব পোর্টালের জন্য নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চে দিল্লির মার্কাজ মসজিদে এক বিশাল ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করে তাবলিগ জামাত। এর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের করোনা পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে।
তখন প্রশ্ন ওঠে, দিল্লির নিজামুদ্দিনের মার্কাজ মসজিদই কি তাহলে এই সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী? ভারতীয় বেশকিছু গণমাধ্যমে এমন প্রশ্ন তুলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তাবলিগ জামাতের ওই সমাবেশ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আপত্তি জানিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলার শুনানিতেই ভারতের প্রধান বিচারপতি সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে সমালোচনা করলেন। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
/জেড এইচ