নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম:‘জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের মাস্টারপ্ল্যান হালনাগাদকরণ এবং বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণসহ অত্যাবশ্যকীয় অবকাঠামো সংস্কার/উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রণীত পুনর্গঠিত মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৭ জুলাই) পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ-সংক্রান্ত এক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, প্রধান বনসংরক্ষক আমীর হোসেন চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক হক মোর্শেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুনর্গঠিত মাস্টারপ্লানে বোটানিক্যাল গার্ডেনের আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয় সকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বোটানিক্যাল গার্ডেনকে ১৩টি জোনে ভাগ করা হবে। প্রতিটি জোনের আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদের স্থলে শুধু মাস্টারপ্ল্যানে বর্ণিত প্রজাতির উদ্ভিদ রোপণ করা হবে। গার্ডেনে পরিবেশ ও দর্শনার্থীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
বর্তমানের ছয়টি প্রবেশপথের স্থলে দুটি গেট থাকবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে একটি সার্কুলার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। একটি বাগি সিস্টেম থাকবে যার মাধ্যমে ছোট্ট খোলা জিপে বয়স্ক দর্শনার্থীরা গার্ডেন ঘুরে দেখতে পারবেন। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সুপেয়পানি ও আধুনিক টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে। অভ্যন্তরীণ রাস্তার আধুনিকায়ন করা হবে।
মাস্টারপ্ল্যানে প্রশাসনিক ভবনের ওপরে টিস্যু কালচার ল্যাব স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি ভিজিটর ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বোটানিক্যাল গার্ডেনের অভ্যন্তরের লেক ও রাস্তার উন্নয়নের প্রস্তাব রয়েছে এই মাস্টারপ্ল্যানে। এছাড়াও কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
একটি স্কাইওয়াক নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানের কর্মচারীদের টিনশেড আবাসিক ভবনের স্থলে বহুতল ডরমিটরি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বোটানিক্যাল গার্ডেনের অভ্যন্তরে আধুনিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনার সকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই পুনর্গঠিত মাস্টারপ্ল্যানে।