নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: বাগেরহাটের বিভিন্ন হাটবাজারে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। বিষমুক্ত এসব সবজির দামও ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে। এদিকে সবজির উৎপাদন ভালো হওয়ায় করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছেন ব্যবসায়ী ও চাষিরা।

ভোর থেকেই কেনাবেচায় সরগরম হয়ে ওঠে বাগেরহাটের যাত্রাপুর বাজারে সবজির এই পাইকারি হাট। শনিবার ও মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাট বসায় এখানে ভিড়টা একটু বেশিই। শিম, বরবটি, লাউ, পেঁপে, বেগুনসহ নানা জাতের টাটকা সবজি কিনতে দূর-দূরান্তের পাইকাররাও ভিড় করেন এখানে।

বাগেরহাটের যাত্রাপুর বাজারে শিম ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, পেঁপে ১০ টাকা, লাউ ২০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, মূলা ১০ টাকা, শসা ২০ টাকা, জলপাই ২০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, লালশাক ৮ টাতা, ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হাটে সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় দামও কম। এরপরও সন্তুষ্ট চাষিরা।

কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এখানে বিষমুক্ত সবজি চাষ হয়। কোনো প্রকার সার বা কিটনাশক ব্যবহার হয় না। অনেক দূর থেকে এখানে সবজি কিনতে আসে। দামে আমরা সন্তুষ্ট। আগের বছরের তুলনায় দাম বেশি।

বাগেরহাটে যাত্রাপুর বাজারের ইজারাদার পিকলু বলেছেন, শনিবার ও মঙ্গলবার হাট বসে এখানে। প্রতি হাটে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার শাকসবজি বিক্রি হয়।

জেলার সদর উপজেলায় এই যাত্রাপুর বাজারের প্রতি হাটে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার বিষমুক্ত টাটকা সবজি বিক্রি হয়।

আরো পড়ুন:

৫১.৭৬ শতাংশ ইলিশ ডিম ছেড়েছে, নতুন জাটকা ৩৯ হাজার ৩০০ কোটি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *