নিজস্ব প্রতিবেদক,ধূমকেতু ডটকম: আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে মৌসুমী বায়ু। আজ রবিবার রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারি বৃষ্টি যেন লকডাউন কার্যকর হওয়ার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। সকাল ১১টার আগে নগরীর রাস্তা ও অলিগলিতে মানুষের চলাফেরা এবং যানবাহন বিশেষ করে রিকশার সংখ্যা বেড়ে গেলেও বৃষ্টির চাপে তা কমে যায়। এদিকে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন করে বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
রবিবার ভোর থেকেই রাজধানীর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। সকাল এগারটার দিকে নেমে আসে মাঝারি ধরবের বৃষ্টি। লকডাউনের চতুর্থ দিনের শুরুতে বাইরে বের হওয়া মানুষ এবং যানবাহন বিশেষ করে রিকশার সংখ্যা ছিল বেশ দৃশ্যমান। রিকশার দাপটে অনেক স্থানে যানজটের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আর অলিগলিতে বিরাজ করে স্বাভাবিক অবস্থা, লোকজনের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। বৃষ্টির কারণে তারা রাস্তাঘাট ও অলিগলি ছাড়তে বাধ্য হয়।
এদিকে, দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় নতুন করে বন্যা দেখা দিতে পারে। আর ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত জেলাগুলির পরিস্থিতি আগামী তিন দিনের মধ্যে আরও খারাপ হতে পারে। কারণ চলমান মুষলধারে বৃষ্টিপাত আরও অব্যাহত থাকতে পারে।
রবিবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূইয়া বলেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘন্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের স্থানসমূহে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। ফলে ওই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় স্থানে আকষ্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।