নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে গত ছয় বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের কথা বলেছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ১১১ কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা। প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ৯৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
যদিও তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম। এ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয় ৫৬ কোটি ৭২ লাখ ২৪ হাজার টাকা, যা ছিল লক্ষ্যমাত্রার (১০৪ কোটি ৮৯ লাখ) প্রায় অর্ধেক।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ছয় অর্থবছরের মধ্যে এই বন্দরে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে চলতি বছর। সবচেয়ে কম আদায় হয় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে। সে বছর লক্ষ্যমাত্রাও ছিল কম। ৫২ কোটির বিপরীতে আদায় হয় ৪০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৪৫ কোটি টাকা।
কাস্টম কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২০১৭-১৮ অর্থবছরে। সেবার ৫০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আদায় হয় ৭৬ কোটি ৫৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৭৬ কোটি ৫৫ লাখ ৭৬ হাজার, ২০১৯-২০২০-এ ৫৬ কোটি ৭২ লাখ ২৪ হাজার টাকা।
কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সহজতর যোগাযোগব্যবস্থার কারণে বুড়িমারী স্থলবন্দর ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্যতম প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ কারণে রাজস্ব আদায়ও বাড়ছে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে ১৩ পণ্য আমদানিতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারসহ জটিলতা হ্রাসে সরকার উদ্যোগী হলে এ বন্দর দিয়ে ক্রমেই বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হবে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি রুহুল আমীন বলেন, ১৩টি পণ্যের আমদানির ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে এ বন্দর ব্যবহারে ব্যবসায়ীরা আগ্রহ হারাবেন। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে এ বন্দরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ রাজস্ব আদায় সম্ভব। এসব পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্লাইউড, রেজিন ও আগরবাতি।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের কাস্টমস সহকারী কমিশনার কেফায়েত উল্যাহ মজুমদার বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দরে ব্যবসায়িক পরিবেশ ভালো। প্রয়োজনীয় জনবল এবং অবকাঠামোও আছে। এ কারণে রাজস্ব আদায় বাড়ছে।